মুসলমানদের বিবাহ সুন্নতি পদ্ধতিতে পড়ানোর নিয়ম।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।মুসলিম মানবের বিবাহ এর সুন্নতি পদ্ধতি সম্পর্কিত বীজ বিস্তারিত খুনিনাটি বিষয়গুলো নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচ্য বিষয় মুসলমানের বিবাহ এর সুন্নতি পদ্ধতি সম্পর্কিত এবং কোরআন হাদিসের আলোকে বিবাহের সঠিক এবং সহি পদ্ধতি সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই এটি মুসলমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন।
মুসলমানদের বিবাহ সুন্নতি পদ্ধতিতে পড়ানো বাঞ্ছনীয়। সুন্নতি নিয়মে বিবাহ না পড়ালে বিবাহের যে সওয়াব ও বরকত থাকে তা থেকে বর ও কনে সহ উপস্থিত সকলেই বঞ্চিত হবে। ইসলাম মানেই শান্তি। ইসলামে সকলে সবার পাশে থাকবে এই কথা বলা আছে। ইসলামে বিবাহ হলে সকলের সামনে সাক্ষী রেখে বিবাহ করতে হয়। ইসলাম কোনো প্রকার লুকোচুরি নেই।তে পড়ানো বাঞ্ছনীয়। সুন্নতি নিয়মে বিবাহ না পড়ালে বিবাহের যে সওয়াব ও বরকত থাকে তা থেকে বর ও কনে সহ উপস্থিত সকলেই বঞ্চিত হবে। ইসলাম মানেই শান্তি। ইসলামে সকলে সবার পাশে থাকবে এই কথা বলা আছে। ইসলামে বিবাহ হলে সকলের সামনে সাক্ষী রেখে বিবাহ করতে হয়। ইসলাম কোনো প্রকার লুকোচুরি নেই।
ইসলাম শরীয়তে জুমার দিন মসজিদেই বিবাহ দেওয়া উত্তম। জুমার দিন ও মসজিদে বিবাহ হলে বিয়ের ঘোষণা ও জনসমাগম অনেক বেশি হয়। তবে অন্য দিন বা অন্য কোনো স্থানেও বিবাহ পারনো যাবে। সুন্নত মোতাবেক বিবাহতে প্রথমেই কনের মতামত বা ইজন নিতে হবে। কনের মতামত বা অনুমতি নেয়ার সময় কম পক্ষে ২ জন সাক্ষী থাকতে হবে। এর পরে বরের কাজ থেকে শুনতে হবে তিনি রাজি কিনা ?রাজি থাকলে কবুল,আমি গ্রহণ করলাম,আলহামদু লিল্লাহ’ বলে সম্মতিসূচক জানাবে বর। তবে এর মাঝে যাই বলে গ্রহণ করুকনা কেন ৩বার বলতে হবে এটা উত্তম।
সুন্নতি বিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনে বা পাত্র-পাত্রীরাই মুখ্য, তারা পুরোটা জীবন একে ওপরের পশে থাকবে বা সংসার করবে বুখারি, হাদিস : ৯৫ বিবাহের পূর্বে তাদের অবশই সম্মতি থাকতে হবে। কোনো ভাবেই তাদের অনুমতির বাহিরে বিবাহ দেওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৯)
বিবাহ পরানোর সুন্নতি পদ্ধতি সমূহ।
- নিশ্চয় করা: প্রথমে দুই পার্সন এবং তাদের কনফ্রিমেশনের পর বিবাহের নিশ্চয় করতে হয়। পরস্পরের ইচ্ছা এবং পরিবারের সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ।
- মেহেন্দি: গায়ে মেহেন্দি দেওয়া হয়, যা স্ত্রীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্য অংশ।
- নিকাহ: নিকাহে পণ্যদত্ত ভাবে একই সময়ে প্রস্তুত হওয়া উচিত। এটি ইমাম বা কাজীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়।
- সুন্নতি উপহার: বিবাহ অনুষ্ঠানে সুন্নতি উপহার দেওয়া সুন্নি মুসলমানদের অনুষ্ঠান বা বিবাহের অবদানের অঙ্গিকার করতে উপহার দেওয়া উচিত।
- ভাত খাওয়া: বিবাহিত জীবন শুরু হলে ভাত খেতে হয়, যা ভাতের প্রথম দিন অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- অনুষ্ঠানিক অংশ: বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পর, সবাইকে পার্থক্যপূর্ণ খাবার দেওয়া হয়, এবং বিবাহ সম্পর্কিত অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়
- বিশেষ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি: বিবাহ অনুষ্ঠানে আল্লাহর নাম উচ্চারণ, কুরআন পাঠ, দোয়া এবং বিশেষ ধর্মীয় প্রক্রিয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
- মহর: বিবাহের সময় স্বর্ণ, চাঁদী বা অন্যান্য প্রকৃতির মহর নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
শুভ দু’আ: বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর স্বর্ণিম ভবিষ্যতের শুভকামনা এবং আল্লাহর বারকাহ প্রদান করার জন্য শুভ দু’আ করা প্রয়োজন। এই সুন্নতি বিবাহের নিয়মগুলো ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান পূর্বক প্রয়োজনমূলক ভাবে পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিম সমাজে সুন্নি বিশেষভাবে প্রচলিত। মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, বিবাহের সুন্নতি পদ্ধতি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রথা এবং ধর্মের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারে। এটি ব্যক্তিগত পছন্দে ভিন্নতা রেখে ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োজনীয় ধাপগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষেঃ
প্রিয় বন্ধুগণ উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে মুসলিম মানবের বিবাহ এর সুন্নতের নিয়ম এবং সহিসুদ্ধ ভাবে বিবাহ নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি হরিপদ এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।