বয়স্ক ভাতা

অনলাইন বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম/পদ্ধতি 2025 | ঘরে বসেই মাত্র ৫ মিনিটে।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম বা পদ্ধতি ২০২৩ ঘরে বসে মাত্র ৫ মিনিটেই আপনি অনায়াসে আবেদন করতে পারবেন শুধুমাত্র আপনার হাতে একটি স্মার্ট ফোন বা একটি ল্যাপটপ অথবা একটি কম্পিউটার থাকলে যথেষ্ট তাই যারা অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন সম্পর্কে জানেন না আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে আশা করি সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

বয়স্ক ভাতা কি  এবংকাদের জন্যঃ

প্রিয় বন্ধু গণ আপনাদেরকে স্বাগতম বয়স্ক ভাতা হচ্ছে সরকারের একটি কর্মসূচি যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত অর্থাৎ গর ীব পরিবার অর্থহীন ব্যক্তিদের বয়সকালে একটি সঙ্গী বা সম্বল বলা যায় তাদেরকে সরকারি তরফ থেকে একটি আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা যার নাম বয়স্ক ভাতা বয়স্ক ভাতা এটি মূলত সুবিধা বঞ্চিত লোক যেমন একটি মানুষের বয়স হয়ে গেলে এবং তার কর্মহীন অর্থাৎ কর্ম করার মত ক্ষমতা যখন তার থাকে না সে সমস্ত লোকের জন্য সরকারিভাবে যে অনুদান দেওয়া হয় তাকেই বলা হচ্ছে বয়স্ক ভাতা।

বাংলাদেশ বয়স্ক ভাতা কত টাকাঃ

বন্ধুগণ বাংলাদেশের বয়স্ক ভাতা কত টাকা এই প্রশ্নটি অনেকের মনে থেকে যায় আসলে সময়ের পরিবর্তনের সাথে যুগের পরিবর্তন হচ্ছে এবং জিনিসপত্র দামেরও পরিবর্তন হচ্ছে সেই হিসাব করে পরিমাণে অনেক কম থাকলেও বাস্তবতার পরিমাণ অনেক কম থাকলেও সরকার দিনের পরিমাণে তা বাড়াচ্ছে ২০২২ সালের মার্চ মাসের সময় থেকে এই ভাতার পরিমাণ ছিল মাসে 500 টাকা তবে এটি ভবিষ্যতে পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায়। এবং এটি প্রতি তিন মাস পর পর প্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে মোবাইলের মাধ্যমে নগদ একাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়।

 কত বছর বয়স হলে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়ঃ

প্রিয় বন্ধুগণ কত বছর বয়স হলে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয় তা অনেকেরই প্রশ্ন হয়েছে বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন পুরুষদের জন্য ৬৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬২ বছর বয়স হতে হবে অন্যথায় বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করলে বা সরাসরি ইউপির মাধ্যমে আবেদন করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না তাই আমাদের আগে বয়স দেখতে হবে যে নির্ধারিত বয়স হয়েছে কিনা।

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন 2025

বর্তমান সময়ে বয়স্ক ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। শুধু কম্পিউটার নয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও আবেদন করা যায়। তাই মানুষ ঘরে বসেই আবেদন করতে পারেন। এতে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গেছে। আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন | Online application
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। মাঝেমধ্যে সিস্টেম আপডেটের কাজের জন্য আবেদনের ওয়েবসাইটটি বন্ধ থাকে। তখন “সিস্টেম উন্নয়নের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত” এই লেখাটি ওয়েবসাইটে দেখা যায়। তখন আপনি আবেদন করতে পারবেন না। তবে নিয়ম-কানুন গুলো পড়ে নিন। একই নিয়মে আপডেটের কাজ শেষ হলে আবেদন করতে পারবেন।

বিঃদ্রঃ– (*) চিহ্ন দেওয়া ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তবে সবগুলো ঘর পূরণ করা ভালো।

ধাপ-১ঃ সর্বপ্রথম আপনার ব্রাউজারে http://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication এই লিংকে ক্লিক করে ওপেন করুন। নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে ‘নির্বাচন করুন‘ বক্সে ক্লিক করে ‘বয়স্ক ভাতা‘ সিলেক্ট করুন।

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন

ধাপ-২ঃ দ্বিতীয় ধাপে আপনি নিচের ছবির মতো ২ টি বক্স পাবেন। প্রথম বক্সে যার নামে আবেদন করবেন তার এনআইডি কার্ডের নম্বর লিখুন ও দ্বিতীয় বক্সে জন্ম তারিখ সিলেক্ট করে করুন। এরপর ‘যাচাই করুন‘ লেখায় ক্লিক করুন।

আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ (বয়স্ক ভাতা)
আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ

ধাপ-৩ঃ ২য় ধাপ অতিক্রম করলে আপনার দেওয়া আইডি কার্ড থেকে ছবিসহ আবেদনকারীর কিছু তথ্য অটোমেটিক পূরণ হয়ে যাবে। যেই ঘর গুলো খালি থাকবে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে নিবেন। নিচের ছবিতে উদাহরণ দেখানো হলো।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তথ্য পূরণ করুন
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তথ্য পূরণ করুন

ধাপ-৪ঃ এই ধাপে আবেদনকারী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যেমনঃ বৈবাহিক সম্পর্ক, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের সদস্য সংখ্যা (পুরুষ, মহিলা ও হিজড়া), বার্ষিক আয়, পেশা, ভূমির পরিমাণ ইত্যাদি। তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।

আরো পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী তথ্য
বয়স্ক ভাতা অনুযায়ী তথ্য

ধাপ-৫ঃ এই ধাপে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, মোবাইল নম্বরটি কার সেটি সিলেক্ট করুন, ইমেইল (যদি থাকে) ইত্যাদি ঘর পূরণ করুন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন সংরক্ষণ করুন
সংরক্ষণ করুন

সম্পূর্ণ ফরমটি একবার দেখে নিন। কারণ, একবার আবেদনটি জমা দিলে আর কোন তথ্য পরিবর্তন করা যাবেনা। সব তথ্য ঠিকঠাক থাকলে ‘সংরক্ষণ‘ বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি জমা দিন।

ধাপ-৬ঃ এই ধাপে নিচের ছবির মতো বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম pdf আকারে ডাউনলোড করার অপশন পাবেন। এর জন্য ‘প্রিন্ট‘ বাটনে ক্লিক করে সকল তথ্য সংবলিত বয়স্ক ভাতা ফরম pdf ডাউনলোড করে নিন। নিজের প্রিন্টার না থাকলে কম্পিউটার দোকান থেকে ডাউনলোড করা pdf ফরমটি প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম প্রিন্ট করুন
বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন

এরপর প্রিন্ট ফরমটিতে মেম্বার ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে আপনার এলাকার উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে ফরমটি জমা দিতে হবে। বয়স্ক ভাতা আবেদন যাচাই বাছাই করার পর সঠিক ব্যাক্তিদের বাছাই করে ভাতার জন্য সিলেক্ট করা হবে।

উপরের কোন স্টেপ বুঝতে সমস্যা হলে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। আশা করি, সহজেই বুঝতে পারবেন।

সতর্কতা

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম পূরণ করার সময় আপনাকে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কোন প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া যাবেনা। আবেদনটি একবার জমা দিলে সেটি আর ডিলিট বা সংশোধন করা যাবেনা। তাই মনোযোগ দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।

আবেদন ফরমটি শুধুমাত্র একবারই “প্রিন্ট” বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করার সুযোগ পাবেন। পরবর্তীতে আর কোন সুযোগ পাবেন না। তাই অবশ্যই সাথে সাথে pdf ফরমটি ডাউনলোড করে নিন।

বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং

বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন অনুধান, ত্রাণ, ভাতা ইত্যাদি এখন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করে থাকে। এতে করে নাগরিকদের যেমন দুর্ভোগ কমছে একইসাথে দালাল ও অসৎ ব্যক্তিদের দূর্নীতির পরিমাণও কমে আসছে।

আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করার পর গ্রহণ করা হলে ভাতার টাকা গ্রহণ করার জন্য বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট করতে হবে। বিকাশ, রকেট বা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে আপনি এই টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

এর জন্য যিনি ভাতা পাবেন তার নিজের এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সিমে একটা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে হবে। এটি নরমাল মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টই, আলাদা কিছু

যাদের আগে থেকেই খোলা আছে তাদের ক্ষেত্রে নতুন একাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। সেই বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরটি মেম্বার, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরকে দিতে হবে।

এরপর থেকে আপনাকে বয়স্ক ভাতা টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সময়মতো দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি পার্শ্ববর্তী মোবাইল এজেন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।

পরিশেষেঃ

প্রিয় বন্ধুগণ উপরোক্ত প্রতিবেদনটি থেকে আশা করি আপনার আর কোন সমস্যা থাকার কথা না মনোযোগ সহকারে পড়লে নিজেই সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাই আশা করি হতে পারে বা টাইপিং হতে পারে না বুঝে থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন আর যদি আমার এই পোস্টটি করে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমার পোস্টে লেখা স্বার্থ বলে আমি মনে করি সকলের সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *