জ্বর এলে একসঙ্গে কতটা প্যারাসিটামল খাবেন? নিয়ম বা পদ্ধতি

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।জ্বর এলে কতটা প্রাচীর ডিম খেতে হবে বা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিশ্চয়ই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি। আজকের আলোচনার বিষয় জর এলে একসঙ্গে কতটা প্রাথমিক বা খাওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে জ্বর আসলে হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত ভাইরাসের আক্রমণের কারণে আমাদের শরীরে জ্বর হয়ে থাকে মুক্তি পেতে আমরা প্রাসিটামল ব্যবহার করে থাকি ক্যাসিটামল এর কথাটা পরিমাণ খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং সুন্দরভাবে প্যারাসিটামল সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্যারাসিটামলের কাজঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ প্যারাসিটামল এমন একটি ওষুধ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমরা জ্বর বলে থাকি এই মূলত জ্বর বিভিন্ন প্রকার ভাইরাসের অ্যাটাকের কারণে হয়ে থাকে আর এই ঝড় সৃষ্টিকারী জীবাণু ধৌত করার জন্য প্যারাসিটামল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ এর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।ইনফেকশন হওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তার সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
যার ফলে কমে যায় জ্বর। তবে শুধু জ্বর কমানো নয়, এর পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা দূর করার কাজেও এই প্যারাসিটামল অতুলনীয়। তাই সারা পৃথিবীতেই এই ওষুধের এত জনপ্রিয়তা।
দিনে কয়টি প্যারাসিটামল খাওয়া যায়?
প্রিয় বন্ধুগণ দিনে কয়টি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত তথ্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে মূলত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের উচিত সেবন করা উচিত।চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে ৬টি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই ওষুধ খাওয়া যায়।
বে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬টি প্যারাসিটামল খাওয়ার দরকার পড়ে না। বরং দিনে ৪টি খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই অকারণে অত্যধিক সংখ্যায় প্যারাসিটামল খাবেন না। আর চেষ্টা করুন জ্বর এলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার। জ্বর কমে গেলে বা জ্বর না এলে এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
খাবার খেয়ে খেতে হবেঃ
প্রিয় বন্ধুগণ প্যারাসিটামল একটি ভাইরাসজনিতে এন্টিবায়োটিক তাই প্যাসিটেবল খাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু খেয়ে নিতে হবে তা না হলে ভারী ধরনের বিপদ হতে পারে তাই প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে ভাত অথবা অন্য কিছু খাবার খেতে হবে।প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে খালি পেটে এই ওষুধ খাওয়া যাবে না। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পর প্যারাসিটামল পানি দিয়ে গিলে নিন। তাতেই ওষুধ ঠিকঠাক কাজ করবে। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আপনার ওজন যদি ৬০ কেজির কম হয়, তাহলে প্যারাসিটামল ৫০০ খেতে পারেন। আর ওজন ৬০ এর বেশি হলে প্যারাসিটামল ৬৫০ খাওয়া জরুরি।
বেশিদিন ধরে প্যারাসিটামল খেলে বিপদঃ
প্রিয় বন্ধুগণ বেশি দিন ধরেপ্যারাসিটামল খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আমাদের উচিত ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। প্যারাসিটামল অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ কিনে খাওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে আবার ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিত্যদিন এই ওষুধ খাবেন না। এই ভুলটা করলে বিপদে পড়তে পারে লিভার। সেই সঙ্গে আরো একাধিক সমস্যার হতে পারে। তাই ব্যথার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা আজ থেকেই এই ওষুধ খাওয়া ছাড়ুন। তার বদলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
মেনে চলুন এসব নিয়মঃ
বন্ধুগণ মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম ওষুধের পাশাপাশি জ্বর থেকে সেরে উঠতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে আমাদের চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলো নিচের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।জ্বর থেকে সেরে উঠতে চাইলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পাশাপাশি মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম-
- প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন
- হালকা সহজপাচ্য খাবার খান
- শাক, সবজি ও ফল খাবেন
- মাছ, মাংস, ডিমও থাকুক খাবারে
- অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে দূরে থাকুন
তবে এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি ৩-৪ দিনের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
পরিশেষেঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ উপরুক্ত প্রতিবেদনটি জ্বর হলে কতটা প্রাথমিক খেতে হবে এবং নিয়ম বা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়ে আশা করি আপনি সামান্যতম হলে উপকৃত হয়েছেন তাই যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি শেয়ার করে দিতে পারেন।