বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি তিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি। আজকের আলোচ্য বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা এর সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিস্তারিত নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছেপ্রিয় বন্ধুগণ যারা দেশের খবর এবং দেশের সম্পর্কে সব সময়ের জন্য আপডেট খবর পেতে চান তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে এ বিষয়ে বিস্তারিত চলুন এক নজরে দেখে আসা যাক।।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। পরিচালন ব্যয় বাদে নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক সবচেয়ে বেশি আয় করেছে রেপো, স্পেশাল রেপোর বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংককে দেওয়া স্বল্পমেয়াদি ধারের বিপরীতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত অর্থবছর ৩২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।

যা আগের সাত বছরে দেওয়া মোট ধারের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব বিবরণী অনুমোদন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর আহসান এইচ মনুসর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

আর্থিক হিসাব বিবরণী অনুসারে, সব ধরনের খরচের পর গত অর্থবছর নিট আয় থেকে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারি কোষাগারে।

তার আগের অর্থবছরের নিট মুনাফা হয় ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ দেখানো হয় ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দেখানো হয় ৯৭ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণ না বেড়ে উল্টো ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে। তবে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে তথ্য গোপন করে ৬২ দিনে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদনে দেখাচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক থেকে নিট ঋণ ছিল ৮২ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ঋণ সরবরাহ করলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। এমনিতেই এখন ১১ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি।

এর মধ্যে এভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ সরবরাহ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। অবশ্য গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ সরবরাহ না করারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।বৈদেশিক মুদ্রার চরম সঙ্কটের কারণে গত অর্থবছরও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। আগের অর্থবছর বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আবার এ সময়ে টাকার বিপরীতে ডলারের দর অনেক বেড়েছে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খাত থেকে ভালো আয় হয়েছে। ডলার বিক্রির কারণে অবশ্য দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপক কমে এখন আইএমএফের বিপিএম-৬ অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। যদিও নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করেছে। সরকারের আমদানি চাহিদা আন্তঃব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ, সার্বিক অর্থনীতি এবং গত অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

পরিশেষেঃ

প্রিয় বন্ধুগণ উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে যেন অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং এরকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি খোদা হাফেজ দেখা হবে আরো কোনো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *