এফ এ সুমন এর জীবন বিত্তান্ত।

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে সকলে সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকে এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে এফ এ সুমন এর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে অর্থাৎ এর পরিচয় পিতামাতা বাবা-মা ভাই-বোন এবং তার পার্সোনাল লাইফ স্ত্রী সন্তান শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে অর্থাৎ এফ এ সুমনের জীবন বৃত্তান্ত সম্পূর্ণরূপে জানার জন্য আজকের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে তাই যারা কণ্ঠশিল্পী খালেদ সুমন এর জনপ্রিয় গান পছন্দ করেন এবং এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলে ছে তাই কোন প্রকার স্কিম না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি সহকারে পড়ুন।
জীবন বিত্তান্তঃ
এফ এ সুমন এর পুরো নাম হচ্ছে সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন বেশ পাওয়া তিনি একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এ সুমনের গান মূলত পপুলার আজকে আমরা এফ এ সুমন এর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো। সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেইজ-বাবা) (জন্মঃ ৮ জানুয়ারি, ১৯৭৩) বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড অর্থহীনের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা। তিনি মূলত গায়ক এবং বেস গিটার বাজিয়ে থাকেন। তবে কখনো তাকে অ্যাকোস্টিক গিটার কিংবা কি-বোর্ড হাতেও দেখা যায়। তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সে বেইজ গিটার বাজানো শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে ফিলিংস ব্যান্ড এর সাথে যোগ দেন। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ১১ টি ব্যান্ডের সাথে কাজ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ওয়ারফেজ এ যোগদান করেন।[১] সঙ্গীত জগতে সুমন বেইজ-বাবা নামে বহুল পরিচিত।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্মানিত ভিউয়ার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এ সুমনের জীবন বৃত্তান্ত মধ্যে ব্যক্তিগত জীবন কাহিনী সম্পর্কিত তথ্য এই প্যারাটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সহকারে পড়ুন।সুমনের স্ত্রীর নাম নাজিয়া সালেহীন খালেদ। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে, আহনাফ সালেহীন খালেদ এবং অরোরা সালেহীন খালেদ। তারা দুজনেই বোকা মানুষটা এলবামে গান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে সুমন খালেদ গ্রুপের পরিচালক।
শিক্ষা জীবনঃ
প্রিয় বন্ধুগণ এফ এ সুমনের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলেই এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করুন এবং সময় দিয়ে সাহায্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের প্রতি।বেজবাবা সুমন ঢাকা সিটি কলেজ এর ছাত্র, তিনি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা থেকে ১৯৯০ সালে এস.এস.সি. পরীক্ষা দেন, তারপর সংগীতের জগতে প্রবেশ করেন।
সঙ্গীত জীবনঃ
এফ এ সুমন এর সংগীত জীবন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে তাই যারা জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী এফ এ সুমনের ফ্যান এবং তার জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে চান আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য সাজানো হয়েছে।
১৯৮৬: সুমন তার রক সংগীতের জীবন শুরু করেন। এই বছরই সুমন ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেন।
১৯৯০: ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে সুমন বেস গিটার বাজাতেন। এ বছর সুমনের তার ব্যান্ডের নাম বদলে ‘রক ফ্যান্টম’ রাখেন। ‘সাইল্যান্স’ ব্যান্ডে সুমন লীড গীটারিস্ট হিসেবে যোগ দেন। এর কয়েকদিন পর তিনি ‘ফিলিংস‘-এ বেস গীটারবাদক হিসেবে বাজানো শুরু করেন। এলাকার স্টুডিওতে বেস গীটারবাদক হিসেবে বাজানো শুরূ করেন।
১৯৯২: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেইজ, ইন ঢাকা, সুইট ভেনম, রক ব্রিগেডে বেস গীটারবাদক হিসেবে বাজান। এই বছরই তার প্রথম অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’-এর কাজ শুরু করেন।
১৯৯৩: এই বছর সুমন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিলিংস ত্যাগ করেন। তিনি একক অ্যালবাম করার পরিকল্পনা করেন। তার ইচ্ছা ছিল ভিন্ন ধারার গান করার। তিনি এমনভাবে একক গান করা শুরু করেন যাতে ব্যান্ডের পরিবেশটা একক গানেও বজায় থাকে। তিনি ফায়সাল এবং রাসেলের সাথে তার প্রথম গান করেন। তার গানে ড্রাম বাজিয়েছিল রুমি।
১৯৯৪: ‘জলি রজার’ ত্যাগ করেন।
১৯৯৫: ‘শব্দ’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেন এবং এই ব্যান্ড থেকে কিছু গান রেকর্ডিং-এর কাজ শুরু করেন।
১৯৯৬: ‘শব্দ’ ভেঙে যায়। ‘ওয়ারফেইজে’ যোগদান করেন।
১৯৯৭: ওয়ারফেইজের চতুর্থ অ্যালবাম ‘অসামাজিক’-এর কাজ শুরু হয়। জি-সিরিজ থেকে সুমনের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সমালোচকরাও নতুন ধারার এই গানটির প্রশংসা করেন।
১৯৯৮: ‘সুমন নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা করেন। ‘ফেইথ’ ব্যান্ডের টিটি ও সেন্টু তার পরিকল্পনায় সহায়তা করে। আরো কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সুমন ‘সুমন ও অর্থহীন’ নাম দিয়ে ব্যান্ডের কার্যক্রম শুরু করেন।
১৯৯৯: ওয়ারফেইজ ত্যাগ করেন। এই বছরই ব্যান্ডের নাম ঠিক হয় ‘অর্থহীন’।
২০০০: অর্থহীনের প্রথম অ্যালবাম ‘ত্রিমাত্রিক’ প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামটির জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। সুমনের নাম ওয়ারউইকের ‘ফেমাস ইউজার লিস্ট‘-এ লিপিবদ্ধ হয়। তিনি প্রথম এশিয়ান সংগীতশিল্পী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
২০০১: অর্থহীনের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘বিবর্তন’ প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য যে, বিবর্তন বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল অ্যালবাম।
২০০২: অর্থহীনের তৃতীয় অ্যালবাম ‘নতুন দিনের মিছিলে’ প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামে রয়েছে ‘সাতদিন’ নামের ২৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড এর একটি গান। এটি বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসে দীর্ঘতম গান। সুমনের দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘স্বপ্নগুলো তোমার মত’ প্রকাশিত হয়।
২০০৩: অর্থহীনের চতুর্থ অ্যালবাম ‘ধ্রুবক’ প্রকাশিত হয়। সুমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুমন আগের মত আর গান করতে পারবেন না বলেও শঙ্কা দেখা দেয়। সুমন মেটাল সঙ্গীত গাওয়া কমিয়ে দেন।
২০০৪: সুমনের অসুস্থতার কারণে ব্যান্ডের প্রায় সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এই বছরই সুমন এম.টি.ডির (মাইকেল টবিয়াস ডিজাইন) অধিভুক্ত হন।
২০০৫: সুমনের চোয়ালের হাড়ে মারাত্নক সমস্যা দেয়। চিকিৎসক বলেন যে, সুমনের আগের মত গান করতে পারার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থহীনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সুমন এবং বাকী সদস্যরা অর্থহীন ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সুমন সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন। সুমন আবার গান গাওয়া শুরু করেন। এ বছর সুমন জন ডেনভারের গানের অনুবাদ করে ‘মেঘের দেশে’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন।২০০৭: সুমনের তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘বোকা মানুষটা’ প্রকাশিত হয়।
অসুস্থতাঃ
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এ সুমন এর অসুস্থতার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এবং তিনি কি কারণে অসুস্থ হয়েছিলেন এবং কত সালে কিভাবে সুস্থ হলেন তার সমস্ত ডিটেলস এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে।২০১১ সালে তার পাকস্থলীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর তিনি সার্জারী এবং কেমোথেরাপি এর মাধ্যমে ২০১৩ সালে ক্যান্সার মুক্ত হন। ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করা নিয়ে একটি গান করেন, যেটি ‘অসমাপ্ত-২’ এলবামে প্রকাশিত হয়। তারপর আবার ক্যান্সার ফিরে আসে এবং ১২ টি সার্জারির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চট্রগ্রাম ও ঢাকায় শো করে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অর্থহীন নিয়ে ভক্তদের মাঝে স্টেজ পারফরম্যান্সে ফিরে আসেন।
ব্যান্ড অ্যালবামঃ
এ ফ এ সুমন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এ সুমন এর জীবন বৃত্তান্ত যে কয়টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল তার গানের জীবন শুরু ১৯৯৮ সালে প্রথম এলবাম বাহির হয় অসামাজিক ওয়ার ফেইস এবং এরপর একের পর এই এলবাম বের হতেই থাকে তাই অ্যালবামগুলো জানতে হলে আজকের এই প্রতিবেদন সহকারে পড়ুন।রফেইজ) (১৯৯৮)
অসামাজিক (ওয়াত্রিমাত্রিক (অর্থহীন) (২০০০)
বিবর্তন (অর্থহীন) (২০০১)
নতুন দিনের মিছিলে (অর্থহীন) (২০০২)
ধ্রুবক (অর্থহীন) (২০০৩)
অসমাপ্ত-১ (অর্থহীন) (২০০৮)
অসামপ্ত-২ (অর্থহীন) (২০১১)
ক্যান্সারের নিশিকাব্য (অর্থহীন) (২০১৬)
পরিশেষেঃ
সম্মানিত ডিজিটাল বন্ধুগণ আশা করি উপরোক্ত প্রতিবেদনটি পরে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন তাই যারা উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকলে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে একটি কমেন্ট করতে পারেন আপনাদের এই কমেন্টে এরকম নিত্য নতুন পোস্ট দেওয়ার জন্য আমাদেরকে উৎসাহিত করে তাই পোস্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং এখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রকার ছন্দ কপি করে শেয়ার করতে পারেন বা পোস্ট দিতে পারেন।