দিবস

জাতীয় পতাকা দিবস ২ মার্চ।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে জাতীয় পতাকা দিবস দোসরা মার্চ। তাই প্রিয় বন্ধুগণ জানি রাখিয়া ভালো সকল শহীদের প্রতি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে শুরু করেছি জাতীয় পতাকা দিবস কথাটি আমরা খুব সহজে বলতে পারি এবং পালন করি কিন্তু এই পতাকা বাংলা আকাশে উড়তে গিয়ে বাংলার জমিনে দাঁড় করাতে গিয়ে লাখ লাখ শহীদের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে। আমাদের এই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে অনেক ছাত্র কৃষক শ্রম িক শিক্ষক ইত্যাদি রক্তের বিনিময়ে শ্রমের বিনিময়ে আন্দোলনের বিনিময় এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অর্জিত লাল সবুজের এই পতাকা তাই যারা দেশকে ভালোবাসে এবং জাতীয় পতাকা দুশরা মার্চ অথবা ২ মার্চ সম্পর্কে জানতে চান আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য নিচে এই প্রতিবেদনে জাতীয় পতাকা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয় পতাকার বিবরণঃ

জাতীয়-পতাকা - মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার এবার বাংলাদেশ তাই স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এর রং হচ্ছে লাল এবং সবুজ মাঝখানে লালবিত্ত এবং চতুর্দিকে সবুজ এবং এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হচ্ছে। ১০:৬।এখানে ১০ হচ্ছে দৈর্ঘ্য এবং ৬ আসছে প্রস্থ তাই জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছেআজকের এই প্রতিবেদনটিতে। তাই যারা জাতীয় পতাকাকে ভালোবাসেন এবং জাতীয় পতাকা সম্পর্কে জানতে চান আজকের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তাদের জন্য নিচে জাতীয় পতাকার বিস্তারিত তথ্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।উপরে জাতীয় পতাকার ছবি ও দেওয়া হয়েছে।

বহির্বিশ্বে পতাকা উত্তোলন দিবসঃ

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনের প্রধান এম হোসেন আলী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এটিই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরে বর্তমান মুজিব নগরের আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে সর্বপ্রথম জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।

জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলনঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসভবনে। এছাড়া একাত্তরের এই দিনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভার ঘোষণাও দেয়া হয় এই দিনে। ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী। তারা নিশ্চিতভাবেই ধারণা করেছিল যে ছয় দফার বাস্তবায়ন এবার হয়েই যাবে। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের। ৭১ এর ১২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার দুই দফা আলোচনা হলো।

কিন্তু, ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে লারকানায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাসভবনে গিয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হলেন পাকিস্তান আর্মির জেনারেলদের সঙ্গে ৭১ এর জানুয়ারির শেষ দিকে দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টো  ঢাকায় এলেন। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় পরিষদের বৈঠকে ছয় দফার ওপর শাসনতন্ত্র তৈরির কথা বললেন। কিন্তু, ভুট্টো তখন আরও আলোচনার কথা বলেছিলেন। ভুট্টো চান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে হোক।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, আওয়ামী লীগ তাদের ৬ দফার বিষয়ে আপস বা পরিবর্তন না করলে ভুট্টো অধিবেশনে যোগদানের বিরোধিতা করলেন। এরপর ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনার পর ভুট্টো জানালেন তার দেওয়া শর্ত না মানলে তিনি কোনভাবেই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না।

বঙ্গবন্ধু ঠিকই বুঝে ফেললেন আসল কাহিনী। পাকিস্তানিরা নির্বাচনের ফল বানচাল করার জোরালো চেষ্টা করছে। তাই বঙ্গবন্ধুকেও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

অন্যদিকে, ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টো মিলে আঁকলেন আরেক ছক। পহেলা মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করলেন ইয়াহিয়া।

১৯৭০ সালের ৭ জুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইকবাল হলের (বর্তমান জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে বসে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই আমরা শাজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমেদ, মার্শাল মণি, হাসানুল হক ইনু ও আমি পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করি। কিন্তু আমরা কেউ আঁকতে জানি না।

পরিশেষেঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরের প্রতিবেদনটি পড়ার পর সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন তাই যদি ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না এবং নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে দিতে হবে। আপনাদের কমেন্ট আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে আগ্রহ করে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *