বিজয় দিবস

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ শেষ ফেব্রুয়ারি/শহীদ দিবস

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলা ভাষার অন্যান্য প্রাণ বলা যায় বিশ্বের প্রায় সবই একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অথবা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন। কারণ বিশ্বের প্রায় বাংলা ভাষায় যত রাষ্ট্র যত বাঙালি রয়েছেন তারা মূলত এই দিনটিকে খুব স্মরণীয় হিসেবে দেখেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয় এবং স্বীকৃতি লাভ করে তাই আজকের এই প্রতিবেদনটিতে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি অথবা শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। বিশ্বের এক স্মরণীয় দিন হিসেবে বাংলা ভাষার এই শহীদদের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যারা বাংলা ভাষাকে এবং দেশকে ভালোবাসেন শহীদের স্মরণে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিত আলোচনা সুন্দর সুশৃংখলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর সূচনাঃ

বাংলা ভাষা মধুর ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা তাই বাংলা ভাষাকে যারা ভালবাসেন আজকের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তাদের জন্য মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের জনগোষ্ঠীর গৌর ব উজ্জ্বল একটি দিন। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ৮ এ ফাল্গুন ১৩৫৮ বৃহস্পতিবার পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি বর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলা ভাষা তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক জব্বার সালাম বরকত সহ অনেকেই এই দিনটিতে শহীদ হন এবং তাদেরই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলা ভাষা। তাই শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু করছি আজকের এই প্রতিবেদনটি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমার এই বাংলা ভাষা আমার এই বাংলা ভাষা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতিঃ

প্রিয় বন্ধুগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালিত হয় বাংলাদেশে এবং বিশ্বের যত বাংলা ভাষার মানুষ রয়েছে সকলেই একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আজকে একুশে ফেব্রুয়ারি ২০০০ এর উপযখন উপলক্ষে মহান মন্ত্রী ভাষা দিবস হিসেবে কবে স্বীকৃতি পেয়েছে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়তে হবে। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন। জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনোয়ার এর কাছে 1998 খ্রিস্টাব্দের এক শেষ সময় সেক্রেটারি জেনারেল প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের নজরে এ সি টি আসে তিনি 1998 সালের 20 শে জানুয়ারি রফি কে অনুরোধ করেন তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন একটি সংগঠন দাঁড় করান। ইতি একজন ইংরেজভাশি একজন জার্মানিবাসী একজন ক্যান্টেনিভাশি একজন কাস্তিভাষী সদস্য ছিলেন তারা আবারো কফি আনোয়া আনানকে এ গ্রুপে অব্দা মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দা ওয়ার্ল্ড এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লিখেন এবং একটি কফি ইউএনও র কানাডিও দুধ কেবিট হাওলারের কাছেও পূরণ করা হয়।
১৯৯৯ সাল থেকে তারা জোসেফের সাথে ও পরে ইউনেস্কির আনা মরিয়মের সাথে দেখা করেন আনা মরিয়মের পরামর্শ দিন তাদের প্রস্তাব পাঁচটি সদস্য দেশ কানাডা ভারত ভাগ এবং বাংলাদেশ দ্বারা আনীত হবেই তারপর বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দানে ২৯ টি দেশের অনুরোধ জানাতে কাজ করেন ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো প্যারিস অধিবেশনের প্রস্তাব উত্থান করা হয় 188 টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং 2000 সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের যথাযথ মর্যাদা পালিত হয়ে আসছে ২০১০ সালের ২১ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে এখান থেকে প্রতি বছরই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাব করে বাংলাদেশের মেয়ে মাসে ১১৩ টি সদস্য বিশিষ্ট যাদের সঙ্গে কমিটির প্রস্তাব সমর্থন ভাবে পাস হয়।

মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি কিছু কবিতা গানঃ

– আবদুল গাফফার চৌধুরীঃ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু-গড়া এ ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।

জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখিরা
শিশু-হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তি লগনে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন-রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি, একুশে ফেব্রুয়ারি।।

সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।
সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা

তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবিকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর-ছেলে বীর-নারী
আমার শহিদ ভাইয়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাঁকে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালব ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

একুশে কবিতাঃ

 আল মাহমুদ।

 

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?
বরকতের রক্ত।

হাজার যুগের সূর্যতাপে
জ্বলবে এমন লাল যে,
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে !

প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে
ছড়াও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা।

চিনতে না কি সোনার ছেলে
ক্ষুদিরামকে চিনতে ?
রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে
মুক্ত বাতাস কিনতে ?

পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায়
ঝাঁপ দিল যে অগ্নি,
ফেব্রুয়ারির শোকের বসন
পরলো তারই ভগ্নী।

প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপযাপনঃ

কি বন্ধুগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ২০২৩ সালের অগ্রিম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপজাপন উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কিত তথ্য আজকের এই প্রতিবেদনটিতে পাবেন। ১৯৫২ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিওটেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ঢাকায় একুশে বইমেলার আয়োজন করে।

পরিশেষেঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরের প্রতিবেদনটি পড়ার পর সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন তাই যদি ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না এবং নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে দিতে হবে। আপনাদের কমেন্ট আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে আগ্রহ করে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *