দিবস

১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা ভাষা দিবস।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।১১ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটিতে আপনারা যারা দেশকে ভালোবাসেন দেশের মানুষকে ভালবাসেন এবং রাষ্ট্রভাষাকে সম্মান করেন আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ১১ ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয় এই দিনটি মহান একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এর বিস্তারিত সূচনা করা হয়েছে তাই আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারী পড়লে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

সুচনাঃ

প্রিয় বন্ধুগণ ১১ই মার্চ ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টটিতে তাই আশা করি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পোস্টটি পড়বেন।আজ ঐতিহাসিক ১১ মার্চ। ইতিহাসে দিনটি একটি স্মরণীয় দিন। জেনে নেই ১১ মার্চ ইতিহাসে কেন এতো বিখ্যাত। ভাষা আন্দোলন তথা এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ১১ মার্চ একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়।এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশে প্রথম সফল হরতাল। ১১ মার্চ প্রতিবাদের যে ভিত রচনা হয়েছিল তারই সূত্র ধরে তৎকালীন সরকার ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় এবং এই সংগ্রামের পরিপূর্ণতা লাভ করে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের সিঁড়ি বেয়েই ৫২ ‘র ভাষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলন বিকাশ লাভ করে।যার চূড়ান্ত পরিণতি ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

ইতিহাসঃ

১১ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস সম্পর্কিত ইতিহাস কিভাবে এই ভাষার জন্ম হলো এবং কেন ১১ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে স্মরণীয় দিন এবং রাষ্ট্র মর্যাদা হিসেবে পালিত হয় তা বিস্তারিত জানতে পারবো।জ্ঞান তাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বক্তব্যে হইচই পড়ে যায়। একসময় ব্রিটিশদের কাছে লিখিত প্রস্তাব করা হয়, ভারতের রাষ্ট্রভাষা যাই হোক, তবে বাঙালিদের ভাষা হবে বাংলা। এরপর কোনো একসময় ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ঘোষণা দিলেন, ভারতের রাষ্ট্রভাষা হবে হিন্দি। হিন্দিকে সমগ্র ভারতের ভাষার দাবি উঠার পর থেকে ভারতের মুসলমানরা ক্ষেপে যায়। তাদের পক্ষ থেকে দাবি উঠে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার।

ভাষার জন্য বাঙালির আন্দোলন ধীরে ধীরে এসে দাঁড়ায় বিশ দশকে। বিশেষ করে বাংলা ভাষা আন্দোলনে ১৯৪৯ সাল নানাভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ সময়ে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বে উপনীত করে ভাষা আন্দোলনকে। বাতলে দেয় বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তির পথ। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রথম সফল গণবিস্ফোরণের স্মৃতি উজ্জ্বল করে রাখতে ১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ পালিত হয় ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’। চলে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত।

বাংলার ভাষা সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তিদের উক্তি বা তথ্যঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকের এই প্রতিবেদন ১১ মার্চ সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গদের বক্তব্য নিচের সুন্দরভাবে সুশৃংখল ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে তাই মনোযোগ সহকারে সুন্দরভাবে পড়লে খুব সহজেই বুঝতে পারবে।পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে সরকারি কর্মকান্ড ও শিক্ষার একমাত্র ভাষা এবং উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবিতে উত্তাল তখন পূর্ব পাকিস্তান। ঠিক তখনই ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ, আরবি হরফে বাংলা লেখার এক উদ্ভট প্রস্তাব করে পাকিস্তান সরকার। খাজা নাজিমুদ্দিনের উদ্যোগে দেওয়া এ প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুয়ানি বাংলা হরফ থেকে বাংলাকে মুক্ত করে ইসলামী ভাবাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করা।

সে লক্ষ্যে মওলানা আকরাম খানকে চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। সরকারি উদ্যোগেই তৈরি হয় একটি বড় আকারের তহবিলও।

এ উদ্ভট প্রস্তাবের পক্ষে পার্লামেন্টে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য ও সাধারণ শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই সরকার গোটা পাকিস্তানে একই হরফ প্রচলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কাজের জন্য আরবি হরফই সবচেয়ে উপযুক্ত। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ।

 

 

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ পূর্ব পাকিস্তানের সব ভাষাতত্ত্ববিদ একযোগে আরবি হরফে বাংলা লেখার এ উদ্ভট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তমদ্দুন মজলিস ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। শেষ পর্যন্ত সে উদ্যোগ থেকে পিছু হটে সরকার। তবে অনড় থাকে রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পক্ষেই।

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক (টাঙ্গাইল) এবং যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

মাওলানা ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নেতৃত্ব দেন ভাষা আন্দোলনসহ পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। পূর্ব পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতৃত্বে গড়ে ওঠা পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগ ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজপথের আন্দোলন সংগঠনের পাশাপাশি পার্লামেন্টেও সংগঠনটি সোচ্চার ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে।

 

পরিশেষেঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরের প্রতিবেদনটি পড়ার পর সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন তাই যদি ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না এবং নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে দিতে হবে। আপনাদের কমেন্ট আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে আগ্রহ করে থাকি।এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো কপি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করতে পারেন খুব সহজেই অনায়াসে তাইআজকের এই প্রতিবেদনটি এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *