সিম রেজিস্ট্রেশন চেক এবং রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম/পদ্ধতি।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আমি আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এবং সিম রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম বা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনাটি বিষয় গুলো তুলে ধরবো আজকের এই প্রতিবেদনটিতে যারা একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায় না জানেন না তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আজকের এই প্রতিবেদনটি তাই যারা এই সম্পর্কে জানতে চান সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন আমি আমি আপনাদের সুবিধার্থে সে সুন্দর হয় উপস্থাপন করেছি।
সিম কার্ডের মাধ্যমে আমরা ফোন কল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদি করতে পারি। সিম কেনার সময় রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হয়। নতুন নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম কিনতে পারেন।
তাই ১৫ টি সিম ইতিমধ্যেই আপনার নামে থাকলে আপনি আর কোনো সিম নিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে সিম রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। কিভাবে করবেন জানতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সিম নিবন্ধন যাচাইঃ
প্রিয় বন্ধুগণ সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা নিচে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি বুঝে যাবেন।অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, আমার নামে কয়টি সিম আছে? তাই সিম নিবন্ধন যাচাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার নামে কয়টি সিম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে।
সিম রেজিস্ট্রেশন দেখার নিয়ম মূলত ২ টি।
- মোবাইলে কোড ডায়াল করে
- কাস্টমার সেন্টারে গিয়ে
Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছেঃ
সম্মানিত বন্দুগন Nid দিয়ে কয়টি সিম করা আছে সেটা জরুরী একটি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তা আমরা অনেকে জানিনা অনেক সময় হারিয়ে যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আপনার Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেটা জানতে খুবই ছোট্ট একটি কাজ করুন।
*16001# ডায়াল করুন
বন্দুগন প্রথমে আপনার নিজের একটি সিম থেকে ডায়াল করুন *16001# । এই কোডটি ডায়াল করার পর পরের ধাপে আপনার NID কার্ডের নম্বরের শেষ ৪ টি ডিজিট লিখে send করুন।
ফিরতি ম্যাসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে, সেগুলো কোন কোন অপারেটরের। একইসাথে নম্বরগুলোর প্রথম ৩ ডিজিট ও শেষ ৩ ডিজিটও দেখতে পাবেন।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়েঃ
আমার দোকান মোবাইল কাস্টমার অপারেটরের গিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারেন তবে এই ক্ষেত্রে যে কোন কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যাবেন কিনা কেননা আপনি কেবলমাত্র কাস্টমার কেয়ার থেকে এজন্য সেভ করতে পারেন।মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যে কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যাবেন তারা শুধুমাত্র সেই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সিমের তালিকা আপনাকে দিবে।
এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারে গেলে রবি সিমের ব্যাপারে জানতে পারবেন না। আবার রবিতে গেলে বাংলালিংক সিমের রেজিস্ট্রেশন তথ্য পাবেন না। অর্থাৎ আপনার NID দিয়ে সর্বমোট কয়ট সিম রেজিস্ট্রেশন করা সেটি জানতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে একটি সুবিধাও আছে। *16001# ডায়াল করে মোট কয়টি সিম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে সেটি জানা গেলেও সম্পূর্ণ সিম নম্বর দেখতে পারবেন না। তবে কাস্টমার কেয়ারে গেলে তারা সম্পূর্ণ নম্বরটি আপনাকে দেখাবে।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তনঃ
বন্ধুরা সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা হয়তো এমনটা হয়ে থাকে যে আপনি আপনার আইডি কার্ড হয়নি আপনি অন্য কারো আইডি কার্ড দিয়ে আপনার সিমটি রেজিস্ট্রেশন করে চালাচ্ছেন এখন আপনার আইডি কার্ড হয়েছে আপনি এখন চাচ্ছেন যে আমার নিজের আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করব আরও এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।সিম রেজিস্ট্রেশন তো চেক করলেন। এবার যদি আপনার ব্যবহৃত সিমটি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে বা নিজের নামে অন্য কাউকে সিম কিনে দিয়ে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত সিমের মালিকানা পরিবর্তন করুন।
কারণ অন্যের নামে সিম ব্যবহার করা অবৈধ। একই সাথে আপনি আইনী ঝামেলায়ও পড়তে পারেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা খুবই সহজ। যেই ব্যক্তির নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করা ও যেই ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা হবে তারা উভয়ই নিজেদের আইডি কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে।
কাস্টমারে থাকা সদস্যরা ১০-২০ মিনিটে সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে দিবেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা খুবই সহজ। যেই ব্যক্তির নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করা ও যেই ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা হবে তারা উভয়ই নিজেদের আইডি কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে।
কাস্টমারে থাকা সদস্যরা ১০-২০ মিনিটে সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে দিবেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়মঃ
প্রিয় বন্ধুগণ সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম যদি আপনার মনে হয় যে আমার পর ওজনের অতিরিক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে তাহলে আপনি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারেন বাতিল কর্তা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় তাই এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আপনার নামে যদি অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন হয়ে যায় তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দরকার হয়। অথবা আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম যদি অন্য কেউ চালায় তাহলে দ্রুত সেটি বন্ধ করুন। এজন্য নিচের নিয়মটি ফলো করুন।
দুই পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায়।
- হেল্পলাইনে কল করে
- কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সরাসরি গিয়ে
হেল্পলাইনে কল করেঃ
বন্ধুগন এই পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য সিমটি আপনার কাছেই থাকতে হবে। অন্য কারো কাছে থাকলে হবেনা।
প্রথমে আপনার অপারেটরের হেল্পলাইনে কল করুন। তারা আপনার কাছ থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইবেন। যেমনঃ লাস্ট রিচার্জ এমাউন্ট, সর্বশেষ কোন নম্বরে কল করা হয়েছে, বর্তমান সিমের ব্যালেন্স ইত্যাদি।
এই তথ্যগুলো দিতে পারলেই হেল্পলাইন থেকে সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বা রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
সিমটি যদি আপনার কাছে না থাকে বা তথ্যগুলো আপনি না দিতে পারেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়েঃ
প্রিয় বন্ধুগণ সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য কাস্টমার এ গিয়ে সেন্টারে গিয়ে আপনি বাতিল করতে পারেন কেননা সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য কাস্টমার কেয়ারের সুযোগ সুবিধা রয়েছি তাই জানাচ্ছি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান বাতিল করতে পারেন কাস্টমার কেয়ার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারেন।আপনার আইডি কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যান। তাদেরকে বলুন আপনি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান। তারা ১০-২০ মিনিটে কাজটি করে দিবে।
পরিশেষেঃ
বন্ধ করার সকল উপরক্ত প্রতিবেদনটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং সিম রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্তের সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পেরেছেন প্রতিবেদন করার কোন সমস্যা থাকার কথা না।