সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নাম মনে রাখার কৌশল সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে তাই যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে ৭ জন বিশিষ্ট নাম মনে রাখার কৌশল চেষ্টা করে থাকেন অনুসন্ধান করে থাকেন বিভিন্ন ব্রাউজারে গিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হয়ে যাবে বিশেষ করে শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য অনেক কাজে আসবে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ি তাহলে বুঝতে পারবেন ৭ জন বৃষ্টির নাম মনে রাখার কৌশল।
বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানলে আমরা প্রাচীনকালের আত্ম সংগ্রামী জাতি ও মানুষের সম্পর্কে জানতে পারি। যারা স্বাধীনতার জন্য এবং নিজের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিনিয়ত সকল অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়ে গিয়েছিল। বাংলার ইতিহাসে এদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যেসব বীর সন্তানেরা দেশের স্বাধীনতা ও ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল জাতি তাদেরকে চিরকাল শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকে। সে ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা অর্জন করতে প্রাণ দিতে হয়েছিল বাংলার সাধারণ মানুষ ও অসংখ্য ছাত্র জনতা। তাতেও পাকিস্তানি রাখেন তো হয়নি অবশেষে ১৯৭১ সালে তারা বাঙ্গালীদের উপর অন্যায় ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেরে ফেলে অসংখ্য ঘুমন্ত বাঙালি কে। তাদের এই অন্যায়ের প্রতিবাদের দাবি জানাতেই মূলত বাংলার সাধারণ মানুষ আত্মসমগ্রমী হয়ে ওঠে এবং মুক্তিযুদ্ধ ঝাঁপিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার সন্তানদের বীরগাথাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়া হয়।
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশলঃ
বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নাম কিভাবে সহজে মনে রাখা যায় তাই এ বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা চাইলেই খুব সহজেই পড়ে নিতে পারেন।বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম পাওয়া যায়। যারা তাদের মহান ত্যাগ ও অম্লান কৃতির কারণে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। অনেক সময় অনেকেই সেই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ভুলে গিয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা তাদের জন্যই নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েব সাইটের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম স্মরণ রাখার কৌশল সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নং স্মরণ রাখতে পারবেন । আমাদের আজকের এই পোষ্টের কৌশল গুলো অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন। এছাড়াও আপনার বন্ধু-বান্ধব অপরিচিত সকলের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে সহায়তা করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নিই আমাদের আজকের এই পোস্টটি। নিচে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনের উপর কৌশল তুলে ধরা হলো:
- সাত=৭ বীরশ্রেষ্ঠ
- হা= বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান,
- জা= বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর,
- র= বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন,
- মো= বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল,
- ম= বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান,
- আ= বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ,
- ন= বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবীঃ
বন্ধুগন সাতজন বীর সৃষ্ট নাম ও পদবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এই পোস্টটিতে তাই নিচে সুন্দরভাবে তা গুছিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা লক্ষ্য করলেই এবং মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন।
মুক্তি যুদ্ধের প্রথম শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ( মুন্সি আব্দুর রউফ)
- জন্মঃ ফরিদপুর জেলা
- উপজেলাঃ মধুখালী
- গ্রাম: সালামতপুর
- জন্ম তারিখঃ ১মে, ১৯৪৩
- পদ-মর্যাদাঃ ল্যান্স নায়েক
- কর্মঃ ইপিআর
- সেক্টর নংঃ ১ নং
- শহীদ হনঃ ৮ এপ্রিল , ১৯৭১
২।মুক্তি যুদ্ধের শেষ শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ( মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর)
- জন্মস্থানঃ বরিশাল জেলা,
- উপজেলা: বাবুগঞ্জ,
- গ্রাম: রহিমগঞ্জ,
- জন্মঃ ৭ই মার্চ , ১৯৪৯,
- পদ-মর্যাদাঃ ক্যাপ্টেন,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ৭,
- শহীদ হনঃ ১৪ই ডিসেম্বর , ১৯৭১
৩।মোঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল।
- জন্মঃ ভোলা জেলা,
- উপজেলাঃ দৌলতপুর,
- গ্রামঃ মৌটুপী,
- জন্ম তারিখ: ১৬-১২-১৯৪৭
- পদ-মর্যাদাঃ সিপাহী,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহীনি,
- সেক্টর নংঃ ২,
- শহীদ হনঃ : ১৭-০৪-১৯৭২ তারিখে।
4. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানঃ
- জন্মঃ নরসিংদী জেলা,
- উপজেলাঃ রায়পুরা,
- গ্রাম: রামনগর,
- জন্ম তারিখঃ ২৯শে অক্টোবর, ১৯৪১,
- পদ-মর্যাদাঃ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ,
- কর্মস্থলঃ তৎকালিন পাকিস্তান বিমানবাহিনী,
- শহীদ হনঃ ২০শে আগস্ট, ১৯৭১।
5.বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখঃ
- জন্মঃ নড়াইল জেলা,
- গ্রাম: মহিষখোলা,
- জন্ম তারিখ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬,
- পদ-মর্যাদাঃ ল্যান্স নায়েক ,
- কর্মস্থলঃ ইপিআর,
- সেক্টর নংঃ ৮,
- শহীদ হনঃ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।
৬।বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানঃ
- জন্মঃ ঝিনাইদহ জেলা,
- উপজেলাঃ মহেশপুর,
- গ্রামঃ খোর্দ্দ খালিশপুর,
- জন্মঃ ০২/০২/১৯৩৪,
- পদ-মর্যাদাঃ সিপাহী,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ৪,
- শহীদ হনঃ ২৮-১০-১৯৭১
৭।বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনঃ
- জন্মঃ নোয়াখালী জেলা,
- উপজেলাঃ সোনাইমুড়ি,
- গ্রামঃ বাঘপাঁচড়া,
- জন্মঃ ১৯৩৪,
- পদ-মর্যাদাঃ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার ,
- কর্মস্থলঃ নৌবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ১০,
- শহীদ হনঃ ১০-১২-১৯৭১
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার সহজ উপায়ঃ
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আমি আজকে আপনাদের এমন কিছু টিপস দিব যা যেকোনো বিষয়ে মনে রাখার জন্য খুবই সহজ একটি কৌশল আজকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে সৃষ্ট এর নাম খুব সহজে কিভাবে মনে রাখার কৌশল তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই সাত জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম মনে রাখতে পারবেন তাই কথা না বাড়িয়ে চরণ শুরু করা যাক।শুধুমাত্র বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার ক্ষেত্রে নয় সকল ক্ষেত্রে মনে রাখার সহজ কিছু কৌশল রয়েছে এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা পড়াশোনার পরবর্তী সময়ে তা মনে করতে পারে না। ফলে পরীক্ষার হলে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তারা। এক্ষেত্রে তাদের জানতে হবে মনে রাখার কৌশল গুলো। মনে রাখার কৌশল গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা হচ্ছে আপনাকে একাধিকবার অধ্যায়নে যুক্ত থাকতে হবে। এর পাশাপাশি লিখতে হবে। বিষয়ভিত্তিক মূল তথ্য গুলো জানতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তা মনে করার চেষ্টা করতে হবে। এই সমস্ত কৌশল অবলম্বনে আপনি ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখতে পারবেন খুব সহজেই। এই সমস্ত মহান ব্যক্তি গনের নাম গুলো জানার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অনেকেই অনুসন্ধান করেন অনলাইনে। এখান থেকে নাম গুলো জানার পরবর্তী সময়ে মনে রাখতে পারেন না অনেক ব্যক্তি। তাইতো সহজ পদ্ধতি অবলম্বনে সাতজন বীরসৃষ্টির নাম মনে রাখার সহজ কৌশল গুলো তুলে ধরছি আমরা। আশা করছি এখান থেকে নামগুলো জেনে মনে রাখতে পারবেন।
- লেফটেন্যান্ট = বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান।
- রুহুল = বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
- সিপাহি = বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
- কামাল = বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল।
- মুন্সি = বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
- মহিউদ্দীন = বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
- শেখের = বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
পরিশেষেঃ
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণিত প্রতিবেদন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং এই কৌশল ফলো করে আপনি মনে রাখতে পারেন আশা করি আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের এই কমেন্ট বা অনুভূতিটা আমাদেরকে নতুন করে পর লিখার আগ্রহ জাগিয়ে তোলে তাই দয়া করে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন অবশ্যই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই বলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি খোদা হাফেজ আবারও দেখা হবে নতুন কোন একটি প্রতিবেদন নিয়ে ধন্যবাদ।