সহীহ পদ্ধতিতে মুসাফাহার দোয়া এবংমুসাফা করার নিয়ম।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে সই পদ্ধতিতে মুসাফা করার নিয়ম বা দোয়া বন্ধুগণ নিচে মোসাফা করার দোয়া সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা সহি পদ্ধতিতে মুসাফা করতে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে করার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচ্য বিষয় সহি পদ্ধতিতে মুসাফা করার নিয়ম এবং দোয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিস্তারিত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটিকে আরবিতে বলা হয় মুসাফাহ (مُصَافَحَة) ইংরেজিতে বলে (Handshake) হ্যান্ডশেক। বাংলায় আমরা এটাকে বলি কর্মদন বা হাতে হাত মেলানো। হাত মিলানো সুন্নতি কাজ।
মুসাফাহার দোয়াঃ
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ মুসাফার দোয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা মুসাফার দোয়া সম্পর্কে জানেন না তারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মূলত সহকারে পড়লে মুসাফার দোয়ার নিয়ম পদ্ধতি সহি পদ্ধতি কিভাবে মুসাফা করতে হয় সবগুলো বিষয়ে বুঝতে পারবেন তাই সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুসাফাহার সুন্নাত হলো, পাস্পরিক সাক্ষাতে মুসাফাহা করবে, আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবে আর (উভয়ে) বলবে-
يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ
উচ্চারণ : ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম
মুসাফাহা বা করমর্দন করার দু’আ–
يَغْفِرُاللهُ لَنَا وَلَكُمْ
উচ্চারণঃ– ইয়াগফিরুল্লাহু-লানা ওয়ালাকুম
অর্থ : আল্লাহ তাআলা আমাকে এবং আপনাকে ক্ষমা করুন।’ (বুখারি)
মুসাফাহ করার নিয়মঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ মুসাফা করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যারা মুসাফা করার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা সহির পদ্ধতিতে নিচে মোসাফা করার নিয়ম সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি পদ্ধতিতে মুসাফা করার নিয়ম এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মুসাফাহার উৎপত্তিঃ
বন্ধুগণ মোসাফা এর উৎপত্তি সম্পর্কে নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দুনিয়াতে আবির্ভাব হওয়ার আগে থেকে সালাম বিনিময় করা নিয়ম প্রচলিত ছিল মুসাফা করার সাথে সাথে হাত মিলাতে হয় এবং মুখ দিয়ে সালাম দিতে হয় আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু এবং এর উত্তরও দিতে হয় জবাবে ওয়ালাইকুম আসসালাম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আমরা সালাম লেনদেন করি।বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দুনিয়াতে আবিরভাব হওয়ার আগে থেকেই সালাম বিনিময় ও মুসাফাহ করার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। মুসাফাহ করার সময় হাতের সাথে হাত মিলাতে হয়। মুসাফাহ সর্ব প্রথম শুরু করে ইয়েমেন বাসীরা। ইয়েমেন থেকেই মুসাফাহার নিয়ম চলে আসে। আর সেখান থেকেই মক্কা ও মদিনায় ছড়িয়ে পরে মুসাফাহ করা। ডান হাতের তালুর সাথে ডান হাতের তালু মিলালে মুসাফাহ বলা হয়। মুসাফাহ করে দুজন চলে যাওয়ার আগেই তাদের সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন। ইয়েমেনিদের থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি কিভাবে মুসাফাহ করতে হয়। তারা শুধু এক হাত দিয়ে মুসাফাহ করে, তাই আমরা এক হাত দিয়ে মুসাফাহ করবো। অনেক হাদিসে মুসাফাহ করা, এক হাতে মুসাফাহ করার কথা বলা হয়েছে।গাছের পাতা যেমন ঝরে পরে তেমনি মুসাফাহ করার মাধ্যমে বান্দার গুনাহ ঝরিয়ে পড়ে, (তবারনির ছহি হাদিস ২৪৫) তবে দুই হাতে মুসাফাহ করারও কিছু হাদিস রয়েছে,তবে দুই হাতের চেয়ে এক হাতে মুসাফা করার বেশি হাদিস আছে। তাই এক হাতে মুসাফা করার বেশি নিয়ম পাওয়া যায়।
সালাম দেওয়া এবং নেওয়াঃ
বন্ধুগণ সালাম দেওয়া এবং দেওয়া দুটোই সুন্নত তাই সালাম দেওয়া মুসলমানের জন্য ফরজ তাই এক মুসলিম অন্য আরেকজন মুসলিমকে দেখলে অবশ্যই সালাম এবং মুসাফা করতে হবে তাই সালাম দেওয়া এবং দেওয়া সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।সালাম আরবি শব্দ, এর অর্থ হচ্ছে শান্তি। সালাম অত্তান্ত সহজে পালন যোগ্য একটি ইবাদাত। আমরা সালাম দেওয়ার মাঝে ইসলামের যে শান্তির ধর্ম তা আমরা ফুটিয়ে তুলতে পারি। সালামের অফুরন্ত সওয়াব কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। সালাম দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে অহংকার দূর হয়ে যায়। কেউ যদি সবার আগে সালাম দেন তাহলে বুঝা যায় ওই বেক্তির মাঝে কোনো প্রকার অহংকার নেই। সালাম সহি শুদ্ধ ভাবে দিতে হবে। সালাম দিলেও নেকি সালাম নিলেও নেকি পাওয়া যায়। সালাম দেওয়া সুন্নত এবং সালাম নেওয়া ওয়াজিব। তাই সালাম দেওয়ার সময় শুদ্ধ ভাবে সালাম দিতে হবে। সালাম নেওয়ার সময়ও সহি শুদ্ধ ভাবে সালাম নিতে হবে। সালাম মানেই শান্তির দোয়া।
সালাম
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ
উচ্চারণ : আস-সালামু ʿআলাইকুম
অর্থ : আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
সালামের অর্থ
وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ
উচ্চারণ : ওয়া ʿআলাইকুমু স-সালাম
অর্থ : আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক
পরিশেষেঃ
ম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে সালাম দেওয়া নেওয়া এবং সহি পদ্ধতিতে মুসাফা করা এবং এর দোয়া সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং সম্পূর্ণ প্রতিবিধান নিমুরা সহকারে পড়লে সহী পদ্ধতি ও সুফা করার নিয়ম পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ খুব সুন্দর ভাবে জানতে পেরেছেন। মহান আল্লাহতালা সকলকে সহি ভাবে চলার তৌফিক দান করুক আমিন।