শরীর ভাল রাখার জন্য দুধ চা নাকি রঙ চা খাবেন।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।শরীর ভালো রাখার জন্য দুধ চা নাকি রং চা খাবেন সে সম্পর্কিত বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা শরীর ভালো রাখার জন্য দুধ চা নাকি রং চা খাবেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি।
লাইফস্টাইল প্রতিবেদকঃ
প্রিয় বন্ধুগণ মোড়ের আড্ডা, ক্লাসের ফাঁকে বা অফিসে কাজের মাঝে অলসতা তাড়াতে চাই এক কাপ চা। কারো অভ্যাস থাকে চায়ের কাপে চুমুকের সঙ্গে প্রতিদিনের সংবাদপত্র পড়া। কারো আবার চা খেতে দেরি হলে মাথা ধরে বসে। কিন্তু সবকিছুর পরেও নিজেকে ফিট রাখতে কেউ বেছে নেন রঙ চা। অনেকে আবার স্বাদের কথা ভেবে দুধ চা কে বেশি প্রধান্য দেন। শরীরের জন্য আসলে কোন ধরণের চা বেশি গ্রহণযোগ্য অধিকাংশ মানুষই সে বিষয়ে পরিষ্কার না।
জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষায় ১৬ জন নারীকে একবার রঙ চা, আরেকবার দুধ চা পান করতে দেন। তারপর প্রতিবারই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে তাদের রক্তনালীর প্রসারণ মাপা হয়।
এই পরীক্ষায় দেখা যায়, রঙ চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায়। রক্তনালীর প্রসারণ উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত জরুরি। চায়ে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালীর প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপরদিকে দুধ চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটাতে ব্যর্থ। কারণ দুধের মধ্যে থাকে ক্যাসেইন নামক একটি পদার্থ যা চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিনকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালী প্রসারণের ক্ষমতা একবারেই চলে যায়।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাগ্রিকালচার এর গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, চায়ের প্রভাবে কোষগুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন নির্গত হওয়া জরুরি। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। চায়ে যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়, তাহলে ইনসুলিন এর নির্গমন শতকরা ৯০% কমে যায়। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা দেখে নিতে পারেন কোন চায়ে কত ক্যালরি।
দুধ চিনি ছাড়া রঙ চা = ২ ক্যালরি
১ চামচ চিনিসহ রঙ চা = ১৬ ক্যালরি
১ চামচ চিনি ও দুধসহ চা = ২৬ ক্যালরি
সুতরাং রঙ চা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী, দুধ চা নয়।
দুধ–চা, নাকি রং–চাঃ
প্রিয় বন্ধুগণ দুধ চা নাকি রং চা এর সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সকালবেলা ঘুমভাঙা চোখে এক কাপ চা না পেলে যেন দিনের শুরুটাই অসম্পূর্ণ, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ তালিকায় আছেন দেশের বিনোদন তারকারাও। কেউ কেউ চা পান না করে শুটিং ফ্লোরে পা রাখেন না, কারও আড্ডার অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ দুধ–চা, কেউ ভালোবাসেন রং–চা।
চায়ের টানে দার্জিলিং থেকে নেপাল–শ্রীলঙ্কায়ঃ
প্রিয় বন্ধুগণ ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী আইশা খান। তাঁর কাছে এক কাপ চা মানে ভালোবাসা। চায়ের জন্য তিনি ছুটে গেছেন দার্জিলিং থেকে নেপাল–শ্রীলঙ্কায়। বিভিন্ন দেশের মসলা চায়ের সংগ্রহ আছে তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার দিন শুরু হয় চা দিয়ে। সকালবেলা এক কাপ চা না খেলে আমার ঘুম কাটে না। আগে শীতে মা চায়ে এলাচি, লবঙ্গ ও দারুচিনি দিতেন—মসলা চা যাকে বলে। কিন্তু ২০২৩ সালে যখন দার্জিলিং গেলাম, সেখানে মসলা চায়ে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে যাই। এর পর থেকে যে দেশেই গিয়েছি, সেখানকার মসলা চা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। সবশেষ শ্রীলঙ্কার নুয়ারা এলিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় টি ফ্যাক্টরি গিয়েছিলাম, সেখান থেকে তিন ধরনের ফ্লেভারযুক্ত চা নিয়ে এসেছিলাম। মসলা টি, স্ট্রবেরি টি ও গ্রিন টি। আর কাজ করার ফলে গলায় চাপ পড়ে বলেই আমি চেষ্টা করি যেন চা স্বাস্থ্যকর হয়। দুধ–চা আমার প্রিয়, দাদুর সঙ্গে দুধ–চা ও বাকরখানি খেতাম, এই অভ্যাস আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পনির। দুধ চা অথবা মাসালা চা এর সাথে বাকরখানি আর দুই টুকরো পনির। এটা হলে আমার সারা দিন ভালো কাটে।’
বৃষ্টির দিনে চা চলে সুমনেরঃ
চা না খেলে ঘুম হয় না হিমিরঃ
অনেকেই চা খেয়ে ঘুম কাটান, কিন্তু জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির চা না খেলে ঘুমই আসে না। শুটিংয়ের বিরতিতে বা কাজ শেষে, পরিবারের সঙ্গে তাঁর সময় কাটে চায়ের আড্ডায়। হিমির কথায়, ‘চায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত গভীর না হলেও পারত! কারণ, আমি সারাক্ষণ চা খাই, বিশেষ করে দুধ–চা, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। মজার ব্যাপার হলো, সবাই চা খায় ঘুম কাটাতে, আর আমি চা না খেলে ঘুমাতেই পারি না। চিনি অর্ধেক চামচ নিলেও দুধ বেশি করে দিয়ে ঘন চা খাই, তাই ডায়েটে সমস্যা হয়ে যায়। অনেকে দেখি শুটিংয়ে চিনি ছাড়া রং–চা খান, আমার এটা প্রিয় নয়, রং–চা খেলেও ঘটা করে খাই। আর বাসায় থাকা মানেই সারা দিন চা খাওয়া।’
চা নিয়ে হিমি শোনালেন একটি মজার ঘটনা। হিমি বলেন, ‘একবার সিঙ্গাপুরে শুটিং করছিলাম, তখন দুধ–চা খাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের মতো দুধ–চা সহজে মেলে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মিল্ক টি পাউডার পাই। সেটা দেখে শুটিং ইউনিটের সবাই হেসে উঠেছিল, হিমির চা খেতেই হবে।’
চা খাওয়াতে পছন্দ করেন নাদিয়াঃ
পরিশেষেঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরোক্ত প্রতিবেদন কি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার পর দুধ চা খাবেন নাকি রং চা খাবেন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি খোদা হাফেজ।