চিকিৎসা

রাতকানা রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।রাতকানা রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রাতকানা রোগ নিয়ে ভুগতেছেন এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন শুরু করেছি। রাতকানা গো একটি মারাত্মক রোগ কারণ আপনার রোগের রোগীরা রাত্রে দেখতে পায় না এটি প্রতিবন্ধী কথা পর্যন্ত হতে পারে কি কারো দৃষ্টি শক্তি ত্রুটি হলে এবং রোগে পরিণত হলে সেটা চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব হয় আর যদি গুরুতর সমস্যা হয়ে যায় সেটি আর ভালো হয় না তাই আমাদের চোখের যত্নে সচেতন হতে হবে তাই রাতকানা রোগের কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

রাতকানা রোগের কারণ সমুহঃ

সম্মানিত বন্ধুগণ রাতকানা রোগে বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে নিজেদের অসতর্কতা ও অবহেলার কারণে বেশি ভাগ হয়ে থাকে অনেক প্রকার খাবার আমাদের শরীরে যেগুলো প্রোটিন শতকরা আমের ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি এগুলো শরীরের শরীর বৃদ্ধি ও কাজের বৃদ্ধি করে থাকে সেগুলো কম হওয়ার কারণে এবং অপুষ্টিতে ভোগার কারণে রোগ হয়ে থাকে এবং দেহের ঘাটতি হওয়ার কারণে দেখা যায়। মূলত ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বর্তমানে আমাদের সমাজে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি বা এর সমৃদ্ধ খাবার কম খায় যার কারণে রাত রোগের পরিমাণ বেশি হয়ে দাঁড়ায় নিচে রাতকা রোগের কারণসমূহ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

  • ভিটামিন এ এর কারণে রাতকানা রোগ হয়।
  • ডায়রিয়া,নিউমোনিয়া,হাম রোগ হলে মানবদেহে ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয়। আর এর ফলে যথা সময়ে ভিটামিন এর অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে রাতকানা রজার সৃষ্টি হয়।
  • বিভিন্ন প্রকার ওষুধের পার্শপতিক্রিয়ার কারণে ও চোখের বিভিন্ন চিকিৎসা যেমন : ফটোরিফ্রেক্টিভ কেরাটেক্টমি, ল্যাসিক,  রেডিয়াল কেরাটোটমির কারণেও হালকা আলোতে চোখের দৃষ্টি কমে যেতে পারে।

রাতকানা রোগের লক্ষণঃ

প্রিয় বন্ধুগণ রাতকানা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে নিশ্চয় সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। রাতকানা রোগের প্রধান কারণ হলো রাতে চোখে না দেখা বা হালকা আলোতে চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া এবং যানবাহন পরিচালনার সময়ে অসুবিধা হয়ে পড়া যেমন চোখে না দেখা এবং তাকে দেখতে না পারার কারণে এক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সুখের ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই রক্তমা রোগটি মারাত্মক এটি চোখে কর্মীকা, ঘোরাটে করে এবং চোখের ভেতরে হতে পারে। এবং এর বাকি লক্ষণ সমূহ নিচে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

  1. এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো রাতে ,অন্ধকারে বা হালকা আলোতে কম দেখতে পাওয়া।
  2. সন্ধ্যায় বা ভোরে কম দেখতে পারলে।
  3. চোখের সাদা অংশে উজ্জ্বলা ভাব কমে যায়।
  4. রাতে গাড়ি ড্রাইভিং করতে সমস্যা দেখা দেয়।
  5. চোখের করণীয় নরম হয়ে যায়।
  6. চোখের ভিতরে ছাই রঙের ছোট বুদবুদ ভর্তি স্পট দেখা যায়।
  7. চোখের কর্নিয়াতে ঘাঁ হতে পারে এবং কর্নিয়া নরম হয়ে যায়।
  8. রাতকানা রোগ সাধারণত শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।

রাতকানা রোগের প্রতিকারঃ

প্রিয় বন্ধুগণ রাতকানা রোগের প্রতিকার সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।যাদের জন্মগত এই সমস্যা তাদের ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এই যাতে না হয় তার জন্য আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস,খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন,তাহলে আপনি এই রাতকানা রোগ হতে মুক্তি পেতে পারেন। প্রতি দিন খাবারের মেনুতে প্রচুর ভিটামিন এ যুক্ত খবর রাখতে হবে। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার আপনার চোখের সকল সমস্যা দূর করতে অনেকক্ষানি ভূমিকা রাখে। তাই সব সময় টাটকা শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ভিটামিনা এ রয়েছে এমন খাবার সব সময় বেশি বেশি খাইতে পারলে চোখের সকল সমস্যা সহ রাতকানা রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে। সরকারি ভাবে প্রতি বছর শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় ,মনে রাখবেন কোনো ভাবেই যেন আপনার শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে মিস না করেন। এই ক্যাপসুল আপনার শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই ভিটামি এ এর অভাব পূরণ করতে এই সব খাবার খুবই মূল্যবান। তাহলে আপনি রাতকানা রাখতে দূরে থাকতে পারবেন।

রাতকানা রোগের চিকিত্‍সাঃ

বন্ধুরা রাতকানা রোগের চিকিৎসা জন্য আমাদের সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে তা হচ্ছে কোন চক্ষুবিশেষে খুব ভালো ডাক্তারের কাছে পরামর্শ এবং ট্রিটমেন্ট নিতে হবে তারপরে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যে সকল খাবার আমিষ এবং ভিটামিন এ এবং গুলকোর্স যে খাবার গুলোর মাধ্যমে বেশি পাওয়া যায় সে সমস্ত খাবার বেশি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।প্রতি নিয়ত ভিটামিন এ জনিত খাবার খাওয়ার কারণে এই রোগ হতে মুক্তি পেতে পারেন। ভিটামি এ যুক্ত খাবার বলতে টমেটো,কুমড়া,ছোট মাছ,মিষ্টি আলু,কলিজা,দুধ,গাজর,পেঁপে জাম্বুরা,ডিম,পালংশাক সহ বিভিন্ন খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। এই সমস্যা থেকে ভালোভাবে চলাফেরা করতে আপনারা ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে চশমা ব্যবহার করতে পারেন।

পরিশেষেঃ

সম্মানিত বন্ধুগণ উপরক্ত প্রতিবেদনটিতে রাত রোগের লক্ষণ কারণ প্রতিকার এবং চিকিৎসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আশা করি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন সহকারে করার পর রাতকানা রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন পড়ার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *