ফ্রিজ পরিষ্কার করা

ফ্রিজ পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি। ফ্রিজ পরিষ্কার করার নিয়মঃ

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফ্রিজ পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি অথবা ফ্রিজ পরিষ্কার করার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটিতে যারা নতুন ফ্রিজ কিনেছেন এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করা সম্পর্কে সঠিক পদ্ধতি জানেন না আশা করি এই পোস্টটি তাদের অনেক উপকারে আসবে তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার সমস্যার সমাধান হবে আপনাদের সুবিধার্থে পিস পরিষ্কার করার নিয়ম এবং সঠিক পদ্ধতি খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনাদের উচিত উক্ত প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারী সম্পূর্ণভাবে পড়া।

ফ্রিজ খালি করাঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের করণীয় ফ্রিজের ভিতরে যা কিছু আছে তা দ্রুত খালি করা।প্রথমেই ফ্রিজ পরিষ্কারের সময় খাবারের পাত্র, কন্টেইনার, পানি বা কোকের বোতল বের করে রাখতে হবে। সম্পুর্ন ফ্রিজটি খালি করে নিতে হবে। বেশি পুরনো খাবার থাকলে তা ফেলে দিতে হবে। পরিষ্কার করার কাজ শুরুর আগে অবশ্যই ফ্রিজের সুইচ অফ করে রাখতে হবে। কারণ ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতায় ইলেক্ট্রনিক সকেটে হাত লেগে ঘটতে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বরফ সরিয়ে ফেলাঃ

প্রিয় বন্ধুগণ ফ্রীজ খালি করার পর পরবর্তী ধাপ আছে আমাদের বরফগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে তবে সাবধানতা অবলম্বন অবশ্যই করতে হবে এবং ফ্রিজ থেকে কারেন্টের সংযুক্তি অবশ্যই বিচ্ছিন্ন করতে হবে।ফ্রিজের সব জিনিস সরিয়ে ফেলার পর ফ্রীজে আটকে থাকা বরফ সরিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য ফ্রিজের পাওয়ার লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। কমপক্ষে আধাঘণ্টা ফ্রিজ বন্ধ অবস্থায় রাখলে বরফ গলে যায়।

শুকনো কাগজ ব্যবহার করাঃ

বন্ধুরা অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিজের গায়ে শক্তভাবে লেপ্টে থাকে কিছু বরফ। ফ্রিজ থেকে শুকনো কাগজের সাহায্যে সেসব বরফ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্রিজ ডিপফ্রন্ট মোডে নিয়ে যেতে হবে। এ অবস্থায় ফ্রিজের সব বরফ গলে যাবে। তারপর কাগজগুলো বের করে নিতে হবে।

ফ্রিজ পরিষ্কার করাঃ

প্রিয় বন্ধুগণ ফ্রিজ পরিষ্কার করা খুবই সহজ আবার তাই আমরা যেহেতু জানি না সেহেতু অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে ফ্রিজ পরিষ্কার করা আমাদের উচিত।ফ্রীজ থেকে সব বরফ সরানোর পর এবার ফ্রিজটি পরিষ্কার করতে হবে। গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্পঞ্জ দিয়ে ফ্রিজের ভেতরে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ফ্রিজের ভেতর যেন কোনো ময়লা না থাকে। পরিষ্কারের সুবিধার জন্য অনেকেই অব্যবহৃত টুথব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। ফ্রিজের ড্রয়ারগুলো খুলে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ফ্রিজের দরজা ও বাইরের অংশও পরিষ্কার করতে হবে।

গন্ধ দূর করাঃ

প্রিয় বন্ধুরা ফ্রিজ পরীক্ষার করার জন্য অবশ্যই ব্লেসিং পাউডার বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে বা কিছুক্ষণ লাগার পর ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে গন্ধ দূর হবে এবং পুরনো বাসিক খাবার থাকলে তা অবশ্যই ফেলে দিতে হবে।বন্ধুরা ফ্রীজে দুর্গন্ধ থাকলে ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বেকিং সোডা কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে। ৫ থেকে ১০ মিনিট বেকিং সোডা লাগিয়ে রেখে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। এর মাধ্যমে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

ফ্রিজ মুছাঃ

প্রিয় বন্ধুরা ফ্রিজ অবশ্যই নরম কাপড় দিয়ে মুছতে হবে এবং গরম পানি নিতে হবে সাথে কাপড়টি গরম পানিতে ভালোভাবে চুবিয়ে তারপর মুছতে হবে এবং বেশি ফুটানো গরম পানি আবার নেওয়া যাবে না তাহলে ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করাঃ

বন্ধুরা ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করাটাও অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয় কেননা রুচি সম্মত দিনের সবাই চায় তাই তার ভিতরে এবং বাহির দুটাই পরিষ্কার করা অত্যন্ত উচিত বা একটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।ফ্রিজের ভেতরের মতো এর বাইরেটাও পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি কারণ ফ্রিজের দরজা খুলতে গিয়ে হাতের ময়লা লেগে ফ্রিজ নোংরা হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্রিজের হাতলে কভার ব্যবহার করতে পারেন। গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। ফ্রিজ সাজানোর জন্য পছন্দের যেকোনো স্টিকার ও ব্যবহার করতে পারেন।

ফ্রিজ পরিষ্কারের কিছু টিপসঃ

১. ডিপ ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রো-ফাইবারযুক্ত কাপড় ব্যবহার করতে হবে। ডিপ ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমে থাকার কারণে অনেক সময় দুর্গন্ধ বেশি ছড়ায়। বেশিরভাগ বাসায় ফ্রিজের দুর্গন্ধের জন্য প্রধানত ডিপ ফ্রিজই দায়ী হয়ে থাকে। তাই ডিপ ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২. দীর্ঘদিন ফ্রিজে টক দই রাখলেও দুর্গন্ধ তৈরি হয়। এই দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য ফ্রিজের ভেতর একটি ছোট বাটিতে অল্প কিছু চুন রেখে দিতে হবে। এছাড়া ফ্রিজে লেবুর কয়েক টুকরা রাখলেও দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৩. ফ্রিজ ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়ে গেলে বাইরে থাকা খাবার আবার ফ্রিজে তুলে রাখতে হবে। ড্রয়ারগুলো আবার ফ্রিজের মধ্যে যথাস্থানে রাখতে হবে। এরপর মাছ-মাংস, শাক-সবজি আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

পরিশেষেঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরোক্ত প্রতিবেদনটি থেকে বা পড়ার পর আর কোন প্রকার সমস্যা না থাকারই কথা যদি কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হন সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে করার পরও তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট জানাবেন পরবর্তী প্রতিবেদনে তার সলিউশন করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ এই জানিয়ে এখানেই শেষ করছি খোদা হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *