প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়। মাত্র ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার উপায় বা পদ্ধতি নিয়ে প্রিয় বন্ধুরা বরাবরের মতো আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটিতে তাই সকলের মনোযোগ সহকারে প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে উক্ত প্রতিবেদনটিতে সুন্দরভাবে এবং সুশৃংখলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রিয় বন্ধুগণ আমি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে প্রতিবেদনটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং যারা বিভিন্ন ব্রাউজারে গিয়ে অনুসন্ধান করে থাকেন এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না হয়রানি হচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই কথা না বাড়িয়ে চরণ শুরু করা যাক।
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপাদান সমূহঃ
প্রিয় বন্ধুগণ ফর্সা হওয়ার জন্য উপায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার জন্য উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন এবং আপনার সমস্যার সমাধান করে ফেলুন।
- বন্ধুরা প্রথমে ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর পরিষ্কার করতে হবে। এই প্যাকটি মুখে শাইন আনবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
- বন্ধুরা. বেসন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন । সপ্তাহে ২ বার এটা লাগান আপনাদের গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
- বন্ধুরা আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেই। অথচ এই ফেলনা জিনিসটাই আপনাদেরকে পৌছে দিবে আপনাদের স্বপ্নের অনেক কাছাকাছি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর ১ টেবিল চামচ গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার উপায় সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই যারা প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্রাউজারে বা সাইটে গিয়ে তথ্য খুঁজছেন আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
- ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। অল্প দিনের মধ্যে আপনাদের মুখে হাসি ফুটবেই।
- আপনাদের যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটো পিউরি মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন ফর্সা ত্বকের জন্য এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- আধা কাপ চায়ের লিকার (ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
- শশার রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে নিলে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকের এই পোস্টটিতে ফর্সা হওয়া যায় কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তাই যারা প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক অনুগ্রহ করে মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন প্রতিবেদনটি পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন।
- বন্ধুরা সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষেই পালিয়ে যাবে আর আপনারা হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয়।
- ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। মুখে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনাদের বন্ধু না শত্রু।
- কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২ বার করে ব্যবহার করলেও আপনারা ভালো ফল পাবেন।
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ
বন্ধুগণ আজকে আমি আপনাদের সামনে এক মাসে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে সম্পর্কে কিছু টিপ শেয়ার করব তাই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে না যেয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত সমস্যা সমাধান করে ফেলবেন খুব সহজেই।
১) আপনি সকলে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস উষ্ণ পানি খাবেন খালি পেটে। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এক গ্লাস উষ্ণ পানি কেবল ত্বক নয় আপনার বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে। এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য ত্বককে প্রস্তুত করবে।
২) মুখে ভাত নিন। একটি হাড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই বাষ্প মুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব বেশি কাছ থেকে বাষ্প লাগাবেন না। খুব বেশি উত্তাপ ও যেন না লাগে। মুখে ভাব দেয়া হলে পরিষ্কার তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।
৩) এবার আসে ফেস মাস্কের পালা। একটি টমেটো নিন। মাঝখান থেকে কেটে দু’ভাগ করুন ভেতরের পাল্প সবটুকু বের করে নিন। এর সাথে দিন আধা চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ও সামান্য মধু। সম্ভব হলে এক টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু ও টমেটো ন্যাচারাল বীজ হিসাবে কাজ করবে, দুধ জোগাবে মায়েশ্চার, মধু দূর করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ আর শশা কমাবে অতিরিক্ত তেল।
৪) আপনার ত্বকের রং ফর্সা করতে রোজ সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়ার অভ্যাস করুন। সপ্তাহখানেক যেতে দেখবেন আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাত্র ১ মাসে ফর্সাঃ
বন্ধুরা মাত্র এক মাসে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে সম্পর্কে এখন আমরা জানবো এই প্রতিবেদনটিতে নিচে সুন্দরভাবে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
ভিউয়ার্স আশা করছি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আপনার বন্ধু বা আত্মীয় এক উপাদান দিয়ে উপকার পায় বলে আপনিও পাবেন এমন কোন কথা নেই। সেজন্য আমি বিভিন্ন উপাদানের প্যাকের রেসিপি দিয়েছি। সব সময় আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরনের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা। তারপর আপনার পছন্দের প্যাকটি বেছে নিন।
পরিশেষেঃ
সম্মানিত বন্ধু আশা করি উপরুক্ত প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনাদের ভালো লাগার কথা এবং উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে আমি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার অনেকগুলো নিয়ম দেওয়া হয়েছে আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনার শরীরে এলার্জি বা এ ধরনের কোন সমস্যা থাকলে এ ধরনের টিপস ইউজ না করাটাই বেটার কেননা অনেক সময় এই এলার্জির কারণে এই টিপসগুলো মারাত্মক ধরনের ক্ষতি সাধন করে তাই সেটা সেক্ষেত্রে আপনার সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ এই প্রত্যাশা এখানে শেষ করতেছি আল্লাহ হাফেজ।