মানব দেহ

দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ৮ অভ্যাস মেনে চলুন।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ৮ অভ্যাস মেনে চলুন।বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়েছে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি।

১. নতুন কিছু শেখাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আমরা যখন নতুন কিছু শিখি, সেটা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ব্যায়াম। একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষগুলোকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি বা নিউরাল প্লাস্টিসিটি বাড়ায়। মজার ব্যাপার হলো, যেকোনো সৃজনশীল কাজও মস্তিষ্ককে একইভাবে ভালো রাখে। নতুন একটা ভাষা থেকে শুরু করে, সেলাই, কোডিং, ড্রাইভিং—যেকোনো কিছুই হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের জন্য ব্যায়াম, মস্তিষ্ক ভালো রাখার কার্যকর উপায়।

২. মানুষের সঙ্গে সম্পর্কঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ মানুষের মস্তিষ্ক এমনভাবে নকশা করা যে আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্ক যত মজবুত হবে, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ততটাই ভালো থাকবে। তাই সামাজিক জীবনযাপনের বিকল্প নেই। মা–বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নিন। খুদে বার্তা পাঠান। ছুটির দিনে ফোন করুন। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন, মিশুন, জানুন, গল্প করুন, নিজের সামাজিক বলয়ের যত্ন নিন। এসব আপনাকে দীর্ঘজীবী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৩. হাঁটুনঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ ভাত বা কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ১০–১৫ মিনিট হাঁটুন। এতে গ্লুকোজ স্পাইক ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম ১০ মিনিট ধীরে হাঁটুন। তারপর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং ও ডিপ ব্রিদিং করুন।

৪. ছোট ছোট কিছু অভ্যাসঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আপনি যদি ডানহাতি হয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে বাঁ হাতে ব্রাশ করুন। বল শূন্যে উড়িয়ে বাঁ হাতে ধরুন। বাঁ হাতে অন্যান্য কাজ করার চেষ্টা করুন। উল্টো মুখে হাঁটুন। প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান। ধূমপান বা মদ্যপানের বদভ্যাস ছাড়ুন। নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমান। যা কিছু আপনাকে সুখী করে, সেসব করুন। ইংরেজিতে একটা কথা আছে—‘হ্যাপিনেস ইজ দ্য কি’।

৫. কম খাওয়া ভালোঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি স্বাভাবিকভাবে যতটা ক্যালরি গ্রহণ করেন, সেখান থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ কম গ্রহণ করার ফলে গড় আয়ু উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বিপরীতভাবে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের সঙ্গে গড় আয়ু কমে যাওয়ার সরাসরি ও গভীর সম্পর্ক আছে। কেননা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে লিভার, কিডনি, হার্টের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই টাটকা ও মৌসুমি খাবার খান। ঘরে তৈরি খাবার খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *