মানব দেহ

জীবন বদলে দিতে পারে এবং মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য এই দশটি অভ্যাস।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।জীবন বদলে দিতে পারে যে ১০ অভ্যাসজীবন বদলে দিতে পারে এমন দশটি অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। জীবন বদলে দিতে পারে এবং মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য এই দশটি অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী তাই সকলের একবার হলেও পোস্টটি পড়ে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি।

আমাদের প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে শরীর ও মন সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ছাড়াও কিছু অভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন। যে অভ্যাসগুলো আমাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে সহায়তা করে। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলে অনেক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয় এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।

তাহলে জেনে নিন সুস্থ থাকার জন্য কোন কোন অভ্যাস অবলম্বন করা যেতে পারে এবং জীবন পরিবর্তনকারী এই ১০টি অভ্যাস মেনে চলুন-

ভোরে ঘুম থেকে ওঠাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ ভোরে ঘুম থেকে ওঠা অনেক উপকারিতা আছে ভোরে ঘুম থেকে উঠলে মানুষ সকাল-সকাল উঠে এবং ব্যায়াম করতে পারে শরীর রিফ্রেশ হয়ে যায়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যাদের মূলত ডাইবেটিস মেদ এ ধরনের সমস্যা থাকলে ভরে ওঠে একটু হাঁটাহাঁটি করলে অনেক উপকার হয় শরীরের। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা আছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে মেডিটেশন বা ব্যায়াম করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। যা যে কারো পুরো দিনটি সুন্দর ও সাবলীলভাবে কাটাতে সহায়তা করবে।

ব্যায়ামঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ,ব্যায়াম মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না সেটার উচ্চ রক্তচাপ হোক না কেন ডায়াবেটিস রোগ না কেন যে কোন প্রকার রোগের ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই ক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়ামের কার্যকারিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 প্রতিদিন ব্যায়াম করলে ফিট ও সুস্থ থাকা যায়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক ক্ষতিকর উপাদান অপসারণে সহায়তা করে ব্যায়াম। ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এছাড়াও ব্যায়াম ত্বক এবং চুলের জন্যও দারুণ উপকারী।

সকালের নাশতাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালের নাশতা বাদ দেন। কিন্তু, সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, সকালের নাশতা না করলে যে কেউ বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে। ফলে, তারা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। এতে ফলাফল হয় উল্টো।

হাইড্রেটেড থাকাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ, শরীরের কোষের সঠিক কার্যকারিতা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের হাইড্রেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের তালিকাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ প্রতিদিনের একটি কাজের তালিকা থাকা উচিত। এটি লক্ষ্য নির্ধারণ বা সারাদিনের পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। তাই একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন। তাহলে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে। আর অকারণে কোনো সময় নষ্ট হবে না। আবার বাড়তি স্ট্রেসও তৈরি হবে না।

স্বাস্থ্যকর পানীয়ঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ সুস্থ থাকতে গ্রিন টির মতো স্বাস্থ্যকর পানীয় বেছে নিতে পারেন। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। স্ট্রেস দূর করতে এটি দারুণ উপকারী।

সক্রিয় থাকুনঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ নিজেকে সক্রিয় রাখতে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস করতে পারেন। এটি শরীরকে ফিট এবং সক্রিয় রাখবে। কিংবা সপ্তাহ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে যেতে পারেন।

ঘরে রান্না, ঘরে খাওয়াঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ ঘরে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবারের কোনো তুলনা হয় না। ঘরে রান্না এবং ঘরে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি বা প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ভালো ঘুমঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য ঘুমের মতো বিকল্প আর কোন অপশন হয় না কেননা ঘুম মানুষের শরীরে ক্লান্তি দূর করে এবং মেধায় বিকাশ করতে সাহায্য করে তাই ঘুম অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর বিষয় স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে রাতে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তাই সুস্থ জীবনযাপন, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া বা জেগে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

সময়কে গুরুত্ব দেওয়াঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আমরা অনেকেই সময়ের কাজ সময়ে করি না। সময়ের কাজ সময়ে না করার মানে হলো সময়কে গুরুত্ব না দেওয়া। আর সময়কে গুরত্ব না দিলে পিছিয়ে থাকতে হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর করা হয়ে ওঠে না। তাই সময়কে গুরুত্ব দিন, সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন। দেখবেন জীবন বদলে যাবে।

পরিশেষেঃ 

প্রিয় বন্ধুগণ জীবন বদলে দিতে পারে এবং মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য এই দশটি অভ্যাস অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং আপনি নিজেই এই দশটি অভ্যাস আপনার শরীরের মধ্যে করতে পারলে সুস্থ থাকতে পারবেন এই বিষয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সম্ভাব্য সহকারে পড়লে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি খোদা হাফেজ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *