জিবনী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী নিয়ে আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে তাই যারা কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা গান ছন্দ ইসলামিক সংগীত চলচ্চিত্র উপন্যাস গ্রন্থ সমূহ পছন্দ করেন এবং পড়তে আগ্রহী এবং তার জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন আজকের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তাদের জন্য তাই পছন্দ করেন আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য একান্ত কাম্য কেননা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি এর জীবন বৃত্তান্ত এবং এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনীঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই খুব সহজেই আপনারা পড়তে পারবেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ

প্রিয় বন্ধুগণ নিচে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম মৃত্যু পরিবার এবং জীবন বৃত্তান্ত সংক্ষিপ্তভাবে দেওয়া হয়েছে।

নাম (Name) কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)
জন্ম (Birthday) ২৪শে মে ১৮৯৮ (বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ), বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া। গ্রামে (24th May 1898, Churulia village, Burdwan district)
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা কাজী ফকির আহমেদ (বাবা)।জাহেদা খাতুন (মা)।
ছদ্দনাম (Pseudonym) দুখু মিয়া (Dukhu Mia)
দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) প্রমিলা দেবী।নার্গিস আসার খানম।
পেশা (Career) কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকর ও সম্পাদক।
উল্লেখযোগ্য কর্ম নজরুলগীতি, অগ্নিবীণা, বাঁধন হারা, বিষের বাঁশি প্রভৃতি।
মৃত্যু (Death) ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (29th August, 1976)
মৃত্যুস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ।

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী সম্পর্কে জানব বিশেষ করে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম সাল সম্পর্কিত বিস্তারিত জানবো। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে মে , বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষাজীবনঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তিনি শিক্ষা জীবনে যে সকল প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন এবং শৈশবকাল সম্পর্কিত কিছু তথ্য তুলে ধরব এই পাড়ায় তাই যারা কবিকে ভালোবাসেন এবং খুবই সুন্দর বিস্তারিত জানতে চান তারা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তিনি বাবার মৃত্যুর পর মাদ্রাসায় পড়া বন্ধ করে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন এবং মাত্র দু’বছরের মধ্যে নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষা বেশ ভালােভাবেই পাস করে ফেলেন । এগারাে – বারাে বছর বয়সে স্কুলের বাঁধাধরা পড়া ছেড়ে গ্রাম্য এক লেটোর দলে যােগদান করেন । এই লেটোর দলের জন্যে ঐ বয়সেই তিনি চাষার সং , রাজপূত , মেঘনাদবধ ইত্যাদি কয়েকটা পালাগান লিখলেন এবং সুর দিলেন । বয়স কৈশােরে পৌঁছাতেই তিনি লেটোর দলের সর্দার হয়ে গেলেন ।

আস্তে আস্তে কাজী নজরুল ইসলাম মুখে – মুখে ছড়াগান ও কবিতা রচনায় পারদর্শী হয়ে উঠলেন । এসময় তিনি স্কুলের বাঁধাধরা পড়াশুনা না করলেও বাংলা ভাষায় অনেক বই এবং হিন্দু এবং মুসলমান ধর্ম শাস্ত্রের বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করেন ।এরপর তিনি রানীগঞ্জের এক স্কুলে ভর্তি হন ।

কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতাঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ এখন কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত কবিতার সমগ্র এবং কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত বিখ্যাত কবিতার সম্পর্কে ঘটনাটি বিষয়গুলোর বিস্তারিত জানব। মাত্র বাইশ বছর বয়সে নজরুল লিখে ফেললেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘ বিদ্রোহী ’ । এই কবিতাটি রচনা করে কাজী নজরুল ইসলাম  বিখ্যাত হয়ে গেলেন ‘ বিদ্রোহী কবি হিসাবে । দেশে প্রচুর সাড়া পড়ে গেল । এই একটি মাত্র কবিতার জন্য নজরুলকে চিরঞ্জীব পরিচিতি দান করেছে ।

কাজী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্রঃ

নজরুল ‘ধূপছায়া ‘ নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এটিতে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। ১৯৩১ সালে প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’র ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গৃহদাহ’ চলচ্চিত্রের সুরকার ছিলেন তিনি। গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৩ সালে পায়োনিয়ার ফিল্মস কোম্পানির প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’ এবং সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৭ সালের ‘গ্রহের ফের’ চলচ্চিত্রের ১৯৩৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাতালপুরী’ চলচ্চিত্রের ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮ সালে নির্মিত ‘গোরা’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল।

কাজী নজরুল ইসলামের বিবাহঃ

প্রিয় বন্ধুগণ এখন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিবাহ জীবন সম্পর্কে আমরা জানবো এই পোস্টটির মাধ্যমে।কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমীলা সেনগুপ্তাকে বিয়ে করেন । তার স্ত্রী প্রমীলা পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা যান ।

১৯২৬ খ্রীঃ কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় । সেই সময় কবি কৃষ্ণনগরে লিখলেন কান্ডারী হুশিয়ার , দেশবন্ধুর স্বরাজ পার্টির সম্মেলনে ওই সময়ে লিখে কবি গাইলেন ‘ ওঠরে চাষী জগৎবাসী ধর কসে লাঙল ‘ ।

১৯৪৫ খ্রীঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলকে জগত্তারিনী পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন । ১৯৬০ খ্রিঃ ভারত সরকার পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেন রসােত্তীর্ণ কাব্যস্রষ্টা , অসংখ্য গানের রচয়িতা ও সুরকার কবি নজরুল ইসলামকে।

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুঃ 

কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪২ সালের ৮ ই জুলাই থেকে দুরারােগ্য মূক ও বধির রােগে আক্রান্ত হন ।

একাদিক্রমে বছরের পর বছর মূক ও বধির হয়ে জীবনমৃত থাকা অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট চিরবিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় পরলােক গমন করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে তাকে জাতীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয় ।

পরিশেষেঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরের প্রতিবেদনটি পড়ার পর সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন তাই যদি ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না এবং নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে দিতে হবে। আপনাদের কমেন্ট আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে আগ্রহ করে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *