চুলকানি দূর করার সহজ উপায়,নিয়ম/পদ্ধতি।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেনআমি আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি শরীরে চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ম পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যারা চুলকানি দূর করার নিয়ম পদ্ধতি কিংবা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আমি আপনাদের সুবিধার্থে আজকে এই প্রতিবেদনটিতে চুলকানি দূর করার সকল প্রক্রিয়া বলে দিব এবং সকল বিস্তারিত বিশ্লেষণ নিচে করা হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনি এক নজরে মনোযোগ সহকারে পড়লে তা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারবেন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়ঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে তাই নিচে চুলকানি দূর করার উপায় সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ম বা পদ্ধতি জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়েন।
১। নারকেল তেলঃ পাঠক বন্ধুরা নারকেল তেল কিন্তু আমাদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ একটি পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, পোকার কামড় বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিতে পারেন। যদি সম্পূর্ণ শরীরে চুলকানি হয় তবে পুরো শরীরে নারকেল তেল মাখতে পারেন। আপনারা চাইলে কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়েও গোসলও করে ফেলতে পারেন।
২। পেট্রোলিয়াম জেলিঃ বন্ধুরা আপনারা যদি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনারা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সবার ঘরেই থাকে, ফলে যেকোন সময়ই আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। বেকিং সোডাঃ বন্ধুরা বিরক্তিকর চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য বেকিং সোডা অনেক বেশি কার্যকরী। প্রথমে পানি ও বেকিং সোডা দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিতে হবে। এক অংশ পানির মধ্যে ৩ অংশ বেকিং সোডা দিতে হবে। তারপর চুলকানির জায়গায় এই পেষ্টটি লাগাতে হবে। দেখবেন চুলকানি অনেক কমে গেছে। বেকিং সোডা দিয়ে আপনারা গোসলও করতে পারেন। এক্ষেত্রে বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে। এতে পুরো শরীরের চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
৪। অ্যালোভেরাঃ বন্ধুরা আমরা সবাই জানি সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভরার উপকারিতার কথা। চুলকানি প্রতিরোধ করতেও কিন্তু অ্যালোভরার অনেক কার্যকরী। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে চুলকানির স্থানে আলতো ভাবে লাগান। দেখবেন চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।
৫। লেবুঃ ভিজিটর বন্ধুরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধি ফল যেমন লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যে স্থানে আপনাদের চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেস্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিলে কিছুক্ষণের মধ্যে দেখবেন আপনাদের চুলকানি গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
চুলকানি এর চিকিৎসা – Treatment of Itching in Bengali
প্রিয় বন্ধুরা ফুটানি একটি মারাত্মক চর্ম রোগ এর কারণে যখন-তখন যেখানে সেখানে চুলকানি সৃষ্টি হয় এবং এই চুলকানির চিকিৎসা নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এটিকে অনেকে অবহেলা করে কোন চিকিৎসা নেয় না কিন্তু আসলে চর্মরোগ আস্তে আস্তে মানুষের শরীরের ভিতরে গিয়ে তা এক প্রকার ঘাস সৃষ্টি করে তাই চড় মুরগির চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এজন্য নিচে এর চিকিৎসা সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চুলকানির কারণ নির্ণয় করার পরে, এর চিকিত্সা নিম্নলিখিত ধরণের হতে পারে:
১।কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিমঃ
এই ওষুধযুক্ত ক্রিমগুলির ত্বকে প্রশান্তিদায়ক এবং নিরাময় প্রভাব রয়েছে। এই ক্রিমগুলি ত্বককে শুষ্ক করে না, এইভাবে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। এগুলিতে সাধারণত 1% হাইড্রোকর্টিসোন থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
২।ক্যালসিনুরিন ইনহিবিটরসঃ
এই ওষুধটি নির্দিষ্ট এলাকায় চুলকানির চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩।এন্টিডিপ্রেসেন্টসঃ
অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টগুলি শরীরের হরমোনগুলিকে প্রভাবিত করে এবং তাই চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
৪।জেলসঃ
একটি সাধারণ অ্যালোভেরা জেল একটি ময়েশ্চারাইজার হিসাবে সুপারিশ করা যেতে পারে কালশিটে ত্বক প্রশমিত করতে এবং শুষ্ক ত্বক নিরাময় করতে।
৫।অ্যান্টিহিস্টামাইনসঃ
অ্যান্টিহিস্টামিনযুক্ত ওষুধ (সাধারণত খাবারের ওষুধ) অ্যালার্জি কমাতে খুবই সহায়ক। এগুলি প্রদাহ বন্ধ করে এবং তাই চুলকানি। চুলকানি দূর করার উপায়
৬।আলো চিকিৎসাঃ
হালকা থেরাপি চুলকানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য UV আলোর একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিটিকে ফটোথেরাপিও বলা হয়। দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পেতে এই চিকিত্সাটি কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
স্বাস্থ্যের অন্তর্নিহিত অবস্থার চিকিৎসাঃ
বন্ধুরা কিডনি এবং লিভার বা রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিত্সা করা চুলকানি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। রোগের চিকিৎসা করা হলে এর লক্ষণগুলোও চলে যায়। জীবনধারা পরিবর্তন
জীবনধারা কিছু পরিবর্তন করে চুলকানি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারেঃ
সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ জীবনধারা পরিবর্তন করেছি চুলকানি নিয়ন্ত্রণ করা যায় হ্যাঁ এটি সত্য কেননা জীবনের যে ধারা অর্থাৎ আমাদের চলন-বলনের ক্ষেত্রে সেখানে ধারা পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় অনেক সময় শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে এই সমস্ত রোগ দেখা দেয় তাই শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা বজায় রাখলে এখান থেকে অনেকটা বিরতি পাওয়া যায় বা এর থেকে অনেকটা এড়িয়ে যাওয়া যায় তাই বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হয়েছে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
চুলকানি সৃষ্টি করে এমন সব পদার্থ এড়িয়ে চলুন। চুলকানি জায়গায় ঔষধযুক্ত মলম লাগান। এগুলো ওষুধের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। এই মলমগুলি শুষ্ক এবং কালশিটে ত্বককে প্রশমিত করে।
আক্রান্ত স্থানে স্ক্র্যাচ করবেন না। যদি এটি একটি ছত্রাক সংক্রমণ হয়, তাহলে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সংক্রমণ অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। চুলকানির সময় নখের নিচের ব্যাকটেরিয়া চুলকানির জায়গায় গিয়ে প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক চাপ কমাতে. মানসিক চাপ বেড়ে গেলে, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে যায় এবং চুলকানি এবং অন্যান্য অ্যালার্জির কারণ হয়।
পরিশেষেঃ
বন্ধুরা পরিশেষে বলা যায় যে চুলকানি দূর করার নিয়ম পদ্ধতি এবং উপায় সম্পর্কে উপরে প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার এই পোস্টটি লেখা স্বার্থ বলে আমি মনে করি তাই যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি খোদা হাফেজ।