ত্বকের যত্ন

ক্রিম মেখে কি সত‍্যি ফর্সা হওয়া যায়?বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।ক্রিম মেখে কি সত‍্যি ফর্সা হওয়া যায়?বাজারে হাজারো রং ফর্সাকারী ক্রিম পাওয় যায়। বিভিন্ন কোম্পানি দাবি করে যে, আপনি তাদের ক্রিম ব্যবহার করে ফর্সা ত্বক পেতে পারেন। কিন্তু ক্রিম কি আসলে ত্বকের রং পরিবর্তন করতে পারে? সত্যি ফর্সা হওয়া যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জেনে নিন এই সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনাটির বিষয় নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন। এবং সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিম বা অন্যান্য চিকিৎসা স্থায়ীভাবে আপনার ত্বক ফর্সা করতে পারে না। আপনি সবসময় ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে সামান্য পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারেন। এছাড়া ক্রিম ব্যবহার করা ছেড়ে দিলে আপনার ত্বকের রং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞ ডাঃ যুগল রাজপুত জানালেন,

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ কোনও ক্রিম বা অন্য কোনও চিকিত্সার মাধ্যমে ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করা যায় না। যতক্ষণ মানুষ ক্রিম লাগায় ততক্ষণ ত্বকের রঙে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে তবে ধীরে ধীরে ত্বক তার স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসে।যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনও চিকিত্সা বজায় রাখেন তবে ত্বকের স্বরে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আজকাল, অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শট, IV ড্রিপ এবং ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে পারে। তবে এই জিনিসগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাদের ব্যবহার ছাড়া, ত্বকের রং চিরতরে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন (বিইউএসএম) এর গবেষকরা গবেষণা করেছেন। গবেষণার জন্য তারা বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষের ওপরে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করেন।
 
গবেষকরা ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশনে আক্রান্ত ৪০৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে জরিপ করেছেন যারা ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত মার্কিন ভিত্তিক চর্মরোগ ক্লিনিকে দেখা গেছে। হালকা ক্রিম ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে সাধারণ অবস্থা ছিল মেলাসমা (বাদামী থেকে ধূসর-বাদামী প্যাচ) এবং প্রদাহ পরবর্তী হাইপারপিগমেন্টেশন (পিআইএইচ)।
 
অর্ধেকেরও কম তাদের ত্বকের উন্নতির কথা বলেছেন। এছাড়া ওটিসি (OTC) ক্রিম ব্যবহারকারীদের জন্য ফলাফল আরও খারাপ ছিল। শুধুমাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ তাদের ফলাফলের সাথে সন্তুষ্ট ছিল। যারা উন্নতির রিপোর্ট করেছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী ছিল ট্রিপল-কম্বিনেশন ক্রিম।
 
অন্যদিকে যারা তুলনামূলক হালকা পণ্য ব্যবহার করেছেন তারা মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না।
এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসার ফলে ত্বকে সামান্য পরিবর্তন ঘটতে পারে। আজকাল, সিরিঞ্জ, ইন্ট্রাভেনাস থেরাপি (IV) ড্রিপ, অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ট্যাবলেটগুলোতে পাওয়া যায়, যা ত্বককে ফর্সা করতে পারে। তবে এই জিনিসগুলোরও রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার। তাদের ব্যবহার ছাড়া, স্থায়ীভাবে ত্বকের রঙ পরিবর্তন করা অসম্ভব।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটিলিগো অর্থাৎ সাদা দাগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ক্রিম রয়েছে। এই ক্রিম ব্যবহার শুধুমাত্র ভিটিলিগো রোগীদের দ্বারা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়। এই ক্রিমগুলো ত্বকের রঙকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই ক্রিমগুলো শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত এবং সুস্থ ব্যক্তিদের ব্যবহার করা উচিত নয়। যে কোনো ধরনের ফর্সা করার ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

 পরিশেষেঃ    

  প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি উপরোক্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার পর মাখলে ফর্সা হয় সত্যি নাকি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং খুঁটিনাটি বিষয়ে উপরে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যারা সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। এবং সম্পন্ন প্রতিবিধানটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি খোদাহাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *