ইসলামিক স্ট্যাটাস

ইসলামিক দৃষ্টিতে মানুষের ক্ষতি করার ভয়াবহ পরিণতি।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।মানুষের ক্ষতি করার ভয় পাও পরিণতি সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই মানুষের ক্ষতি করার আগে ক্ষতি করার ভয়াবহ পরিণত জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের মানুষের ক্ষতি করার পূর্বে ক্ষতি করার কারণে ইসলামিক দৃষ্টিতে যে ভয় পাওয়ার শাস্তি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে আর ইসলামিক দৃষ্টিতে মানুষের ক্ষতি করার ভয় পাও পরিণত সম্পর্কে নিচে সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং এর ভয় পাও পরিণত সম্পর্কে ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি। মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব। মানব জাতির আদি পিতা-মাতা হিসেবে আদম ও হাওয়া (আঃ) দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহতালা। আদম ও হাওয়া (আঃ)থেকে দুনিয়াতে মানুষের বংশবিস্তার শুরু হয়েছে (নিসা ৪/১)। কিন্তু মুসলমানদের বংশবিস্তার ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর (হজ্জ ২২/৭৮)।

অন্যের ক্ষতি করার ভয়াবহ পরিণতিঃ

 সম্মানিত বন্ধুগণ অন্যের ক্ষতি করার ভয়বাহ পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে এবং ইসলামিক দৃষ্টিতে অন্যের ক্ষতি করার ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিচের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

আবু সিরমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,যে মানুষ অন্যের ক্ষতি করে,মহান রব্বুল আল-আমিন তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। অন্যকে কষ্ট দিলে আল্লাহ নিজেই তাকে সেই কষ্টের মাঝে ফেলবেন (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)। তাই মানুষ মানুষকে কষ্ট দিয়ে কখনই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বরং নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে।

হজরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি কোনো মানবের ক্ষতি করে এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাহলে নিজেই সে অভিশপ্ত। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)

আবার এটি আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ,আবু সিরমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন,কেউ কারো ক্ষতি করলে মহান আল্লাহ্তালা নিজেই তার ক্ষতি সাধন করবেন। কোনো মানুষ অন্যায় ভাবে কারো ক্ষতি করলে আল্লাহ তার বিরোধীতা করবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)

মুসলিমদের আল্লাহ নিজেই কষ্ট দিতে বাধা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُبِيْنًاঅপরাধ না করা সত্ত্বেও যারা মুমিন নর ও নারীদের কষ্ট দেয়,তারা প্রকাশ্যে গোনাহর বোঝা বহন করে। (আহযাব ৩৩/৫৮)।
মুমিনকে কষ্ট দিতে নিষেধ করে রাসূল (ছাঃ) বলেন,

يَا مَعْشَرَ مَنْ قَدْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يُفْضِ الإِيْمَانُ إِلَى قَلْبِهِ لاَ تُؤْذُوْا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تُعَيِّرُوهُمْ وَلاَ تَتَّبِعُوْا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِى جَوْفِ رَحْلِهِ،

‘হে ঐ জামা‘আত! যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ, কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মযবূত হয়নি। তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হবে না। কেননা যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও।

মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমঃ

আমার তো বন্ধুগণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যম ইসলামিক দৃষ্টিতে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যম এবং এর পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদন সহকারে পড়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু করছি এবং মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যম বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।

আল্লাহতালা যদি কারো বিরোধী হন, তাহলে তার মতো হতভাগা আর এই দুনিয়ায় নেই। কারো ক্ষতি করলে সে নিজেই নিজেকে পূর্ণ ধ্বংসের দিকে টেনে নিচ্ছেন। মানুষের ক্ষতি করে কেউ যদি পাহাড় সমতুল্য নেকি নিয়ে কবরে যান,সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। তাই কারো মনে কষ্ট দেওয়া বা কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে,কেউ কখনো কল্যাণ বয়ে আন্তে পারেনি বা পারবেওনা। বরং মানুষ এর অভিশাপে সে তিলে তিলে ধ্বংসে হয়ে যাবে। আল্লাহর সকল প্রকার রহমত তার উপর থেকে উঠে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে বেক্তি মুমিন বান্দার ক্ষতি করতে যাবে, সে নিজেই অভিশপ্ত হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)

পরিশেষেঃ

সম্মানিত বন্ধুগণ উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে ইসলামিক দৃষ্টিতে মানুষের ক্ষতি করার ভয়ংকর পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই। তাই ইসলামিক দৃষ্টিতে বা ইসলামিক আইনে যে ভয় পাব শাস্তি কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকারী তাই সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং সম্পূর্ণ প্রতিটি মনোযোগ সহকারে করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *