ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম/পদ্ধতি।

আসসালামু আলাইকুম infobangla57.com আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলের সুস্থ আছেন ভালো আছেন।আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অর্ডার আইডি কার্ড দিয়ে সংশোধন করা দুটি সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়গুলো জানবো আজকের এই এই প্রতিবেদনটি থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ভুল-ত্রুটি হলে তা সংকদম সংক্রান্ত সকল খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তাই যারা আইডি কার্ড ভুল হয়ে গিয়েছে এবং এ নিয়ে টেনশন এ আছেন এবং সংশোধন করার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের দৃষ্টি লক্ষ্য করে বলতেছি আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

জাতীয় পরিচয় পত্র বা আবার ভোটার আইডি কার্ড যাই বলা হোক না কেন, এটিতে ভুল হতে দেখাটা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকের আইডি কার্ডে কিছু না কিছু ভুলের দেখা মিলে।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

তবে ভুল নিয়ে বসবাস তো আর করা যায় না, তাই উক্ত ভুলের সংশোধনের খোঁজে নামে অনেকেই। দৌড়াদৌড়ি করে এদিক থেকে ওদিক। তবে এখন আর সেই কষ্ট করতে হবে না, কেননা অনলাইনে ঘরে বসেই করা যাবে ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন। পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে উক্ত বিষয় নিয়েই। শুরু করা যাক।

এক নজরে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনঃ

প্রিয় বন্ধুরা, এক নজরে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম বা ফর্মুলা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো এই প্রতিবেদনটিতে তাই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন প্রতিবেদনটি পড়ে আসিঅনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইলে প্রথমেই চলে যেতে হবে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd) এবং সেখানে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, আপনার জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে একাউন্ট।

একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সেখানে লগিন করুন এবং প্রোফাইল নামক অপশন থেকে ভুল তথ্য গুলো এডিট করে সংশোধন করুন। নির্ধারিত সংশোধন ফি জমা দিন এবং পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো Upload করে দিন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ, আবেদনটি গ্রহনযোগ্য হলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে।

কোন কোন ভুল সংশোধন করা যাবেঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন ভুল সংশোধন করা যাবে এ বিষয়ে এখন আমরা জানবো এই প্রতিবেদনটিতে তাই যারা এ সংক্রান্ত অর্থাৎ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত জানেন না কোন কোন ভুল সংশোধন করা যাবে তা জানেন না আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মহাদেশ সরকারের পড়ুন আমি নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দিয়েছি।এই পর্যায়ে জানবেন ভোটার আইডি কার্ডে হওয়া ঠিক কোন কোন ভুল গুলো সংশোধন করা যায় সে সম্পর্কে। প্রথমত, যে ব্যক্তির আইডি কার্ড সে ব্যক্তির নামে যেকোনো ভুল হলে সেটা সংশোধন করা যাবে।

আবার অনেকেই রয়েছে যাদের জন্ম তারিখে ভুল তথ্য দেয়া রয়েছে, এক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংশোধন করা যাবে।

তাছাড়া আইডি কার্ডে পিতা-মাতার নামের সাথে যদি তাদের আইডি কার্ডের নামে অমিল থাকে তবে তা সংশোধন করা যাবে।

এছাড়াও ঠিকানা দেয়ার ক্ষেত্রে যে ভুল গুলো হয় সেগুলো সংশোধনের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক অন্যান্য ভুল (রক্তের গ্রুপ, ছবি পরিবর্তন ইত্যাদি) থাকলে সেটির সংশোধন করা যাবে।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজনঃ

 বন্ধুরা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যা যা কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেই উক্ত প্রতিবেদনটিতে তাই যারা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে উক্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আশা করি।ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের জন্য যে কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে এবার আলোচনা করা হবে। মূলত এটা প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে যে আপনি যে তথ্য পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন সেটি কতটা ভ্যালিড।

এক্ষেত্রে সেক্টরের ভিন্নতাতে বিভিন্ন ডকুমেন্টস বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন হবে। সাধারণত দুইটি কিংবা সর্বোচ্চ চারটি ডকুমেন্টস সাবমিট করলেই আবেদনটি গ্রহনযোগ্যতা পায়। এই পর্যায়ে একেক সেক্টরে যে যে কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে সেগুলো নিয়ে বলছি।

নামের সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ

  • শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
  • জন্ম নিবন্ধন
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র (সন্তানের নামের সংশোধনের ক্ষেত্রে)
  • সন্তানের জাতীয় পরিচয় পত্র (বাবা-মা এর নামের সংশোধনের ক্ষেত্রে)
  • বিবাহ এর কাবিন নামা

জন্ম তারিখ সংশোধের ক্ষেত্রেঃ

  • শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
  • জন্ম নিবন্ধন
  • পাসপোর্ট
  • মেডিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট
  • চেয়ারম্যান কতৃক প্রদানকৃত পারিবারিক সনদ

ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ

  • জমির দলিল
  • ইউটিলিটি বিল
  • জন্ম নিবন্ধন
  • সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত সনদ

বৈবাহিক অবস্থার সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ

  • বিবাহের কাবিন নামা
  • সন্তানদের জাতীয় পরিচয় পত্র
  • তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের সার্টিফিকেট
  • স্বামী / স্ত্রী এর মৃত্যু সনদ

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকাঃ

বন্ধুরা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ফ্রি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে নিচে এবং বি সংক্রান্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে তাই যারা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত ফি সম্পর্কে জানেন না তারা নিচে থেকে জেলে দিবেন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনারা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে লাগে তার সম্পূর্ণ জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনটিতে।

সংশোধনের বিষয় প্রয়োজনীয় ফি (টাকা)
NID এর তথ্য সংশোধন ২৩০ টাকা
অন্যান্য সেকশনের তথ্য সংশোধন ১১৫ টাকা
একত্রে উভয় তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩৪৫ টাকা
রিইস্যু করার ক্ষেত্রে ৩৪৫ টাকা
জরুরি ভাবে রিইস্যু করার ক্ষেত্রে ৫৭৫ টাকা

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম (বিস্তারিত প্রসেস)ঃ

বন্ধুরা যেমন ইতিপূর্বে বলেছিলাম, অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এই পর্যায়ে বিস্তারিতভাবে দেখাবো কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন, রেজিস্ট্রেশনের পর সংশোধনীর আবেদন করবেন এবং সবশেষে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন ফ্রি প্রদান করবেন। সহজে বুঝার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে উক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হলো।

ডকুমেন্টস সংগ্রহঃ

বন্ধুগন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য উপরে উল্লেখিত যে ডকুমেন্টস গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে এবং স্ক্যান বা ছবি এর মাধ্যমে সফট কপি তৈরি করতে হবে। কেননা যখন সংশোধনীমূলক কার্যক্রম করা হবে তখন উক্ত ডকুমেন্টস গুলোর সফট কপি আপলোড করে সাবমিট করতে হবে। তাই প্রথমে উক্ত কাজটি করে নিন।

ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন এবং লগইনঃ

সম্মানিত বন্ধুগণ ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েবসাইটের লগইন সংক্রান্ত সকল তথ্য নিচে উল্লেখ করা হয়েছে এবার যে কোন ডিভাইসের মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন অপশনে চলে যান। বলে রাখা ভালো, আপনি যে ডিভাইসটি ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন এবং সংশোধনী মূলক কার্যক্রম করবেন সেটি ব্যতীত অন্য একটি মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে NID Wallet ; যা প্লে স্টোরে অ্যাভেইলেবল আছে।

ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন ড্যাশবোর্ডে যাওয়ার পর সেখানে তিনটি অপশন দেখতে পারবেন। প্রথমটি হবে তাদের জন্য যাদের ইতিমধ্যে কোন অ্যাকাউন্ট তৈরি করা নেই এবং নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করবে। দ্বিতীয়টি নতুন নিবন্ধনকারীদের জন্য। এবং তৃতীয়টি লগইন অপশন যেটি আমাদের কিছুক্ষণ পরেই প্রয়োজন হবে। যেহেতু আমাদের ইতিমধ্যে কোন অ্যাকাউন্ট নেই তাই প্রথম অপশনটি বা রেজিস্ট্রেশন অপশনটিতে ক্লিক করবো।

NID account register
NID account register

এখানে রেজিস্ট্রেশন করার প্রসেস খুবই সহজ। উপরের ছবিটি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রথম অপশনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার অথবা ফর্ম নাম্বার প্রদান করতে বলা হয়েছে।

যেহেতু আপনার কাছে ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রটি রয়েছে সেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি এখানে লিপিবদ্ধ করুন। পরের অপশনটিতে সঠিকভাবে জন্ম তারিখ মাস ও বছর সিলেক্ট করুন। অতঃপর একটি ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে প্রথম ধাপ সাবমিট করুন।

ঠিকানা
ঠিকানা

এবার নতুন একটি পেজ চলে আসবে যেখানে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রে প্রদানকৃত বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য লিপিবদ্ধ করুন। সবশেষে পরবর্তী নামক অপশনটিতে ক্লিক করুন।

এই পর্যায়ে আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমে একটি সচল মোবাইল নাম্বার সাবমিট করতে হবে; যেখানে কিছু সময়ের মধ্যেই একটি ওটিপি কোড প্রদান করা হবে। মেসেজের মাধ্যমে ওটিপি কোডটি গ্রহণ করার পর এখানে সাবমিট করতে হবে। এরই মাধ্যমে লিপিবদ্ধ সংক্রান্ত কাজগুলোর সমাপ্ত করবে।

 ফেস ভেরিফিকেশন (Face Verification)

সম্মানিত বন্ধুগণ ফ্রেশ ভেরিফিকেশন মানে হচ্ছে আপনার ফোনের মধ্যেই একটি এসএমএস যাবে সেখানে ছয় ডিজিটাল এটি কোড যাবে অথবা ৬০ ডিজিটের সেই কোডটি আছে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা security purpose এর জন্য যে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকা সাপেক্ষে তার চেহারা ভেরিফাই করা হবে। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে করণীয় হলো:

একাউন্ট রেজিস্টার
একাউন্ট রেজিস্টার
  • অন্য একটি মোবাইলে NID Wallet নামক অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে
  • অ্যাপটি ওপেন করার পর QR কোড স্ক্যান করতে হবে
  • QR কোট স্ক্যান করার পর আপনার ফেস ভেরিফিকেশন এর অপশন আসবে

এবার সেখানে দেখানোর নির্দেশনা মোতাবেক সেলফি ক্যামেরা চেহারা বরাবর ধরে চেহারা ডানে এবং বামে ঘুরিয়ে ভালোভাবে  স্ক্যান করে নিন। সবকিছু ঠিক থাকলে ওকে কিংবা টিক মার্ক দেখাবে।

সবশেষে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। অবশ্যই এমন পাসওয়ার্ড সেট করবেন যেটা স্ট্রং এবং সহজে অনুমান করা যায় না।

রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আপনার পরবর্তী কাজ হবে অ্যাকাউন্টে লগইন করা এবং তথ্য সংশোধনী সংক্রান্ত কাজ শুরু করা। একাউন্ট লগইন করার পর কিভাবে তথ্য সংশোধন করবেন সেটি থাকছে পরবর্তী ধাপে।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনঃ

সম্মানিত পাঠক ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি ভোটার আইডি কার্ডে কোন তথ্য গুলো সংশোধন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার একাউন্টে লগইন করবেন তখন নিম্নে প্রদর্শিত ছবির মত পেজ চলে আসবে।

প্রোফাইল এডিট
প্রোফাইল এডিট

এ পর্যায়ে আপনি যে সকল তথ্যগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেটিকে মেমোরাইজ করে স্ক্রিনের ডান পাশে উপরে নীল অপশনটিতে কি করুন যেখানে এডিট লেখা রয়েছে। তারপর আপনাকে নতুন আরো একটি পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে। যেটা দেখতে কিছুটা এমন হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য
ব্যক্তিগত তথ্য

এবার আপনি যেই যেই তথ্যগুলো সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেটির বাম পাশে বক্স অপশনটিতে টিক সাইন দিয়ে স্কিনের ডান পাশে উপর অংশে পরবর্তী নামক অপশনটিতে ক্লিক করুন। সংশোধনী মূলক তথ্য প্রদান করুন এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে থাকুন।

সংশোধনী আবেদনের ফি প্রদানঃ

যেকোনো তথ্য পরিবর্তন কিংবা সংশোধনের জন্য যে নির্ধারিত ফ্রি রয়েছে সেটিও অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম (বিকাশ, নগদ, রকেট) গুলো আপনাকে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা করবে। যেহেতু প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের সম্পর্কে আলাদা আলাদা করে বলে দেওয়া যাচ্ছে না সেহেতু যে কোন একটি (বিকাশ) প্ল্যাটফর্মের পদ্ধতি দেখানো হলো।

বিকাশের মাধ্যমে সরকারি ফি প্রদানের পদ্ধতিঃ

  • বিকাশ অ্যাপ থেকে পে বিল অপশনে যান
  • সরকারি ফ্রি অপশনে ক্লিক করুন
  • NID সার্ভিস অপশনটি সিলেক্ট করুন
  • এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি লিখুন
  • আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন

এবার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে ফি পরিশোধ করুন। পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়ে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে ফিরে যান এবং সেখানে প্রমাণ সমূহ আপলোড করুন। এখানে প্রমাণসমূহ বলতে ট্রানজেকশন নাম্বার সহিত টাকা পাঠানোর পরবর্তী স্ক্রিনশটকে বোঝানো হয়েছে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট এবং পরবর্তী কাজঃ

একদম প্রথম ধাপে বলা হয়েছিল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলোর সফট কপি তৈরি করে রাখার কথা। এই পর্যায়ে সেই সকল সফট কপি গুলো সাবমিট করতে হবে।

কোন ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্টস সাবমিট করা যেতে পারে তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর সাথে সর্বশেষ ফি প্রদানের প্রমাণটি যুক্ত করে একত্রে সব কিছু আপলোড করে দিতে হবে।

সকল প্রমাণ সাবমিশনের পর পুনরায় ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। সেখান থেকে উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার অপশন দেখতে পাবেন। উক্ত লিংকে ক্লিক করে আবেদনটি ডাউনলোড করে নিজের সংরক্ষণে রাখুন। এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন।

বিঃদ্রঃ  অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না। আপনার যদি ঠিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় তবে এক্ষেত্রে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে যেতে হবে এবং সেখান থেকে ফরম নিয়ে তা পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে জানার জন্য নিচের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আমি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছি প্রশ্ন ও উত্তর ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত এবং ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আপনি করতে পারেন কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট অপশন থেকে চলুন নিচে গিয়ে দেখা যাক।

১) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে?

=> এটি অনেকটা নির্ভর করে আবেদনের ধরণের উপর। আপনি যদি অনলাইনে আবেদনটি করে থাকেন এবং যথাযথ প্রমাণ সাবমিট করেন এক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে যাবে। তবে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে।

২) একটি ভোটার আইডি কার্ড সর্বোচ্চ কতবার সংশোধন করা যায়?

=> এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিমিটেশন দেওয়া হয়নি। আপনার আইডি কার্ডে যতবারই ভুল হোক না কেন তা সংশোধন করে নেওয়াটাই মূল লক্ষ্য। কোনোভাবেই জাতীয় পরিচয়পত্রে কোন প্রকার ভুল থাকা যাবে না সেটিকে সংশোধন করে নিতে হবে।

পরিশেষেঃ

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আশা করি উপরোক্ত প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনার সমস্যার সমাধান খুব ইজিলি করে ফেলেছেন তাই উপরোক্ত প্রতিবেদনটি থেকে যদি আপনি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমার কন্টেন লেখা সার্থক বলে আমি মনে করি তাই উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত সকল তথ্য খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে আপনার সমস্যার সমাধান খুব ইজিলি করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *